দরজা বন্ধ বিজেপি, কংগ্রেসেরও | কী করবেন বেলডাঙ্গার ভরত ঝাওর?

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরোঃ ১৩ মার্চঃ তৃণমুলে তোপ দেগে ফের খবরে বেলডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক ভরত ঝাওয়ার। তোপ তো দাগলেন, এবার কী ? সেই প্রশ্নই ঘুরছে বেলডাঙ্গার অলিতে গলিতে।

আশা করেছিলেন প্রার্থী হবেন বিধানসভায় । কিন্তু  পাননি যোগ্যতা অনুযায়ী সম্মান।  শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খলাখুলিই  তোপ দেগে এই কথা জানান  ঝাওয়ার।

তার সাফ বয়ান, “ আমি যা কাজ করেছি আমার ধারণা ছিল আমার কাজের  পুরস্কার আমি নমিনেশন পাবো এবং বেলডাঙ্গা সহ আরও এলাকার মানুষের উপকার করতে পারবো। কারণ  এম এল এ একটা বড় যায়গা, সেটা পাইনি কষ্ট হয়েছে মর্মাহত এবং আমার মনে হয়েছে যে যোগ্যতা, শিক্ষা পারদর্শিতা প্রার্থী সিলেকশনে অগ্রাধিকার পাইনি”

তবে এও জানান, এবারের প্রার্থী হাসানুজ্জামানকে স্নেহই করেন তিনি। তবে ঝাওয়ার অনুযোগ, হাসানুজ্জামানের উচিৎ ছিল প্রার্থী হিসেবয়ে ভরতবাবুর নামই প্রস্তাব করা। হাসানুজ্জামান  পলাশী ছেড়ে  এখানে লড়তে এসে ঠিক করেন নি বলেও মনে করেন ঝাওর। একই সাথে জানান তিনি মর্মাহত। রয়েছেন ট্রমায়।

ভরত ঝাওরের বিবৃতি থেকেই স্থানীয়দের অনুমান, এইবার দল ছাড়তে চলেছেন ঝাওর।

সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে তিনি যোগ দিতে পারেন কংগ্রেস বা বিজেপি দলে।

 তবে ঝাওয়রের ট্রমা নিয়ে টীপ্পনী কেটেছেন ভরত ঝাওর প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস। তিনি  বলেন, ”  করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন বাজারে এসেছে কিন্তু মনোবেদনা প্রতিরোধে কোন ভ্যাকসিন এখনও বাজারে আসেনি”  । একই সাথে তার দাবি, বারবার দলবদল করে বিজেপিতে নাম লেখাবেন । জয়ন্ত দাস বলেন,” প্রথমে তিনি সাধারণ মানুষ, তারপর আস এস পি, কংগ্রেস তারপর তিনি তৃণমূল এখন তিনি হয়তো ভাবছেন শেষকালে বিজেপিতে যাবেন”

জয়ন্ত বাবুর দাবি ভরত ঝাওরকে নিয়ে ভাবিত নয় কংগ্রেস।

 

ভরতের দেরিতে বোধয়দকে অবশ্য আমল দিতে নারাজ বিজেপিও। ভরতের জন্য দলের দরজা বন্ধ বলেও জানিয়েছেন বিজেপি মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ। গৌরীশঙ্করের সাফ বয়ান, “ তৃণমূলের দিন শেষ আর ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তাই বিজেপিতে আসতে চাইছেন ঝাওয়র। সত্যিই শুভবুদ্ধির উদয় হলে আগেই বিজেপিতে আসতেন ঝাওর। ঝাওর ক্ষমতাসীন  দলে থাকতে পছন্দ করেন, ওনার মনে দেশপ্রেম নেই। এই ধরণের মানুষের জন্য আমাদের দলের দরজা বন্ধ” ।

ঝাওরের প্রশংসা করেই জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি, সাংসদ   আবু তাহের খানের উক্তি, ” ওনাকে দল যোগ্য সম্মান দিয়েছেন। ওনার মনের বাসনা বিধায়ক হওয়ার। বেলডাঙ্গা পৌরসভার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। দল সকলের মনের সাধ পূর্ণ করার  জায়গা নয়।  এখানেই ওনার থেমে থাকা উচিৎ। আর বেশি এই বিষয়ে মুখ না খুললেই ভালো”।

আর কী বলছেন বেলডাঙ্গায় প্রার্থী হাসানুজ্জামান ? তিনি অবশ্য মনে করছেন ভরত ঝাওর পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মানসিক চাপে আছেন। রবিবারই তিনি আলোচনায় বসবেন ঝাওরের সাথে। ওনাকে সাথে নিয়েই এলাকায় প্রচার হবে। হাসানুজ্জামান বলেন, ” আমরা  নিশ্চিত বেলডাঙ্গার  পৌরবাসীরা  আমাদের সাথে থাকবেন এবং আমাদের চেয়ারম্যানও আমাদের সঙ্গে থাকবেন এটা আমাদের আশা । ভরত ঝাওরকে গার্জেন হিসাবে পাব বলে কোন দ্বিমত নেই। পৌরসভার পৌর প্রশাসক উনার ব্যক্তিগত মতামত এবিষয়ে আমার কিছু বলার নেই, এখনও উনি আমাদের সাথে আছেন আশা  করি উনি আমাদের সাথে থাকবেন এবং আমরা তাঁকে সম্মান দিয়েই চলি, সম্মান দিয়েই চলবো “।

তবে ঝাওর যে আশাহত স্বীকার করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সব মহলের নেতারাই।

তবে, এখন কী করেন ঝাওর ? দলকে চাপ দিতে গিয়ে কি নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনলেন ? সব দিকেই নজর থাকছে বেলডাঙ্গার স্থানীয় মানুষের।