মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ ভারাটে খুনি দিয়ে মুর্শিদাবাদের নওদায় খুন করা হয়েছে নদিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মতিরুল বিশ্বাসেকে। ঘটনায় রয়েছে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মর্গের বাইরে দাবি করলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শুক্রবার নওদার তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি নওদার সফিউজ্জামান সেখ ওরফে হাবিব মাস্টার ও নদিয়ার জেলা পরিষদ সদস্য টিনা ভৌমিকের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগ। এই দুই তৃণমূল নেতা সহ মোট দশ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত তৃণমূল নেতা মতিরুল বিশ্বাসের স্ত্রী রিনা খাতুন বিশ্বাস । দুই নেতা সহ দশজনের বিরুদ্ধে নওদা থানায় দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগ। এদিন বহরমপুরে ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের সাথে।
এদিন বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মর্গের বাইরে মৃত তৃণমূল নেতার অনুগামী, পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন মহুয়া। হাসপাতালে ছিলেন মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ।
মহুয়া মৈত্র বলনে, খুব ভালো সংগঠক ছিলেন মতিরুল বিশ্বাস । আমি শোহাহত। পুলিশ খুবই তৎপর। সাথে নিরপাত্তারক্ষী ছিল, সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল। আমাদের পুলিশের উপর ভরসা আছে। যতদুর বোঝা যাচ্ছে যারা মেরেছে তারা ভারাটে খুনি। মেরে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশের উপর ভরসা আছে।
গোষ্ঠীকোন্দল প্রসংগে মহুয়া বলেন, আমি গোয়ান্দা নই। এটাই বলতে পারি, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে । তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত আছে। কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই। পুলিশের উপর আস্থা আছে । যেই হোক, যারা খুন করেছ তাদের পিছনে যে ‘গ্রেটার কনস্পিরেসি’ আছে। সেটা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করবে।
গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে কিছু বলার নেই বলে দাবি করেন মহুয়া। মহুয়া বলেন, “ আমরা পরিবারকে আশ্বাস দিচ্ছি দ্রুত তদন্ত হবে। আমি যা শুনেছি, বোমা ফেলেছে দেহরক্ষী পালিয়ে গিয়েছে। বোমা ছোড়ার পর দেহরক্ষী একদিকে, মতিউর আরেকদিকে পালায়। তখন তারা পিছন থেকে গুলি করে। পরে সামনে থেকে গুলি করা হয়”।
মহুয়া বলেন, “ যারা করেছে ভারাটে খুনি”। মহুয়া বলেন, “ আমি সাংসদ। কারো বিরুদ্ধে আঙুল ওঠানো আমাকে শোভা দেয় না। পুলিশের উপর আস্থা আছে”। যদিও দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযগ করেছেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। বিধায়ক বলেন, “পুর্বপরিকল্পিতভাবে ছক করে খুন করা হয়েছে”
তাপস সাহার দাবি, “একুশের ভোটে নারায়ণপুর এক ও দুই নম্বর অঞ্চলে মিঠু ও মতিউরকে টিনা সাহা বারবার বলেছিল বিজেপি’র হয়ে ভোট করতে । কিন্তু এরা বিজেপি’র হয়ে ভোট করেন নি । মমতা ব্যানার্জির কথা মতো আমাকে সাপোর্ট করে । সেই থেকেই একটা চক্র টিনা সাহার নেতৃত্বে আছে। নওদার যিনি ব্লক সভাপতি তিনি একাধিকবার থানারপাড়া গিয়েছে । কেন ? এক বছর ধরে এক বছর ধরে ষড়যন্ত্র করছে সিপিএম, বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের একটা অংশ। দলের বিরুদ্ধে নয় আমরা ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বলছি। মিঠুকে মারার ষড়যন্ত্র , মোতিকে মারার ষড়যন্ত্র। ”।
তাপস সাহা বলেন, “সিকিউরিটি ছিল তাও এটা ঘটল। খুব লজ্জাজনক। আমরা সিআইডি তদন্ত চাইছি। খুনীরা পুর্বপরিচিত। হয়তো ভেতরের লোকই খবর দিয়েছিল। হাবিবকে টিনা সাহার সাথে একাধিকবার নওদা থানায় দেখা গিয়েছে”।
ণমূল নেতা খুনে আগেই উঠেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। ওই নেতার স্ত্রী রিনা বিশ্বাস নারায়ণপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। মতিরুল নদিয়ার করিমপুর ২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি । স্ত্রীর দাবি, খুনীদের খুঁজে বের করতে সিআইডি তদন্ত চাই। নেতার স্ত্রী যদিও এদিন সকালে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। যদিও পরে সেই দাবি থেকে সরে এসে সিআইডি তদন্ত দাবি করেছেন। শুক্রবার সকালে নওদা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। রিনা খাতুন বলেন, ” পার্টি করতে গিয়েই আমার স্বামী খুন হয়েছে। আমার স্বামী যাদের নামে অভিযোগ করেছেন তাদের নামেই অভিযোগ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা আছে। আমি রাজ্য পুলিশের তদন্তে খুশি না “। এদিন নওদা থানায় নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতি সফিউজ্জামান সেখ ওরফে হাবিব মাস্টার ও নদিয়ার জেলা পরিষদ সদস্য টিনা ভৌমিকের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগ। দুই নেতা সহ দশজনের বিরুদ্ধে নওদা থানায় দায়ের হয়েছে এফআইআর।
বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মর্গের বাইরে মৃত তৃণমূল নেতার অনুগামী, পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন মহুয়া। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন। হাসপাতালে ছিলেন মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ।
মহুয়া মৈত্র বলনে, খুব ভালো সংগঠক ছিলেন। আমি শোহাহত। পুলিশ খুবই তৎপর। সাথে নিরপাত্তারক্ষী ছিল, সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল। আমাদের পুলিশের উপর ভরসা আছে। যতদুর বোঝা যাচ্ছে যারা মেরেছে তারা ভারাটে খুনি। মেরে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশের উপর ভরসা আছে।
গোষ্ঠীকোন্দল প্রসংগে মহুয়া বলেন, আমি গোয়ান্দা নই। এটাই বলতে পারি, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত আছে। কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই। পুলিশের উপর আস্থা আছে । যেই হোক, যারা খুন করেছ তাদের পিছনে যে ‘গ্রেটার কনস্পিরেসি’ আছে। সেটা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করবে।
গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে কিছু বলার নেই বলে দাবি করেন মহুয়া। মহুয়া বলেন, “ আমরা পরিবারকে আশ্বাস দিচ্ছি দ্রুত তদন্ত হবে। আমি যা শুনেছি, বোমা ফেলেছে দেহরক্ষী পালিয়ে গিয়েছে। বোমা ছোড়ার পর দেহরক্ষী একদিকে, মতিউর আরেকদিকে পালায়। তখন তারা পিছন থেকে গুলি করে। পরে সামনে থেকে গুলি করা হয়”।
মহুয়া বলেন, “ যারা করেছে ভারাটে খুনি”। মহুয়া বলেন, “ আমি সাংসদ। কারো বিরুদ্ধে আঙুল ওঠানো আমাকে শোভা দেয় না। পুলিশের উপর আস্থা আছে”।
তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, “পুর্বপরিকল্পিতভাবে ছক করে খুন করা হয়েছে”
“একুশের ভোটে নারায়ণপুর এক ও দুই নম্বর অঞ্চলে মিঠু ও মতিউরকে টিনা সাহা বারবার বলেছিল বিজেপি’র হয়ে ভোট করতে। কিন্তু এরা বিজেপি’র হয়ে ভোট না করে। মমতা ব্যানার্জির কথা মতো আমাকে সাপোর্ট করে। সেই থেকেই একটা চক্র টিনা সাহার নেতৃত্বে আছে। নওদার যিনি ব্লক সভাপতি তিনি একাধিকবার থানারপাড়া গিয়েছে। কেন ? এক বছর ধরে এক বছর ধরে ষড়যন্ত্র করছে সিপিএম, বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের একটা অংশ। দলের বিরুদ্ধে নয় আমরা ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বলছি। আমরা দলকে চিঠি লিখে জানিয়েছে। অভিষেককে জানিয়েছি, দিদিকে জানিয়েছি। মিঠুকে মারার ষড়যন্ত্র , মোতিকে মারার ষড়যন্ত্র। ”।
তাপস সাহা বলেন, “সিকিউরিটি ছিল তাও এটা ঘটল। খুব লজ্জাজনক। আমরা সিআইডি তদন্ত চাইছি। খুনীরা পুর্বপরিচিত। হয়তো ভেতরের লোকই খবর দিয়েছিল। হাবিবকে টিনা সাহার সাথে একাধিকবার নওদা থানায় দেখা গিয়েছে”।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় গুলি, বোমা মেরে খুন করা হয় ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। জানা গিয়েছে, মতিরুলের ছেলে নওদার এক বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে । ছেলের সাথে দেখা করতেই এসেছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। । সব সময়ের মতো এদিনও সাথে ছিলেন ওই নেতার ব্যক্তিগত নিরপত্তারক্ষী । ছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারও।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নওদার মহম্মদপুর এলাকা থেকে মোটরবাইকে চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। নিজেই চালাচ্ছিলেন বাকি। পিছনের সিটে বসেছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। পিছনের বাইকে ছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারও। নওদার টিয়াকাটা ফেরিঘাটে পৌঁছানোর আগেই শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে বাইক লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মতিরুল। কাছ থেকে ফের বোমাবাজি হয়। কাছ থেকে ছোঁড়া হয় গুলিও। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় মতিরুলের । সিআইডি তদন্তের দাবি করেছেন তৃণমূল নেতার স্ত্রী।