তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত নওদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ অপসারিত হলেন। সোমবার নওদার কলাতন ভবনে ভোটাভুটির মাধ্যমে ১৩-১৪ ভোটে পরাজিত হলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন মতিউর রহমান। মূলধারার তৃণমূল কংগ্রেস আর বিক্ষুব্ধদের চাপানউতোরে টানটান উত্তেজনা নওদায়।
বিক্ষুব্ধরাও নিজেদের তৃণমূল বলে দাবি করছেন। এই পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট সদস্য সংখ্যা ২৮ জন। একজনের সদস্য পদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় ২৭ জন সদস্যের মধ্যে ১৪ জন সদস্য বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে ভোট দেন। সভাপতি গঠন ঘিরে এদিন সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তা থাকে। নতুন সভাপতি গঠন প্রক্রিয়া শেষ হতেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তৃণমূলের একাংশের সদস্যরা। নতুন সভাপতি মতিউর রহমানকে ফুলে মালা পড়িয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। তৃণমূলের কোন্দল প্রসঙ্গ এড়িয়ে নতুন সভাপতির দাবি দুর্নীতিগ্রস্ত সভাপতিকে অপসারিত করা হয়েছে।
একে অপরের দিকে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সুর চড়ালেন দুপক্ষই। অপসারিত সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, অশুভ জোটের কাছে পরাজয়। তারাই তৃণমূলের সৈনিক বলে দাবি করেছেন বিশ্বজিৎ । তিনি জানান, দলের নির্দেশ মেনেই কাজ করবেন তিনি।
নতুন সভাপতি নির্বাচন ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও। বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের নির্দেশ ছিল, অনাস্থা আনা যাবে না। এই নির্দেশ সত্ত্বেও ৩১ শে আগস্ট নওদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল সদস্যরা অনাস্থা নিয়ে সোচ্চার হন। বহরমপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে জমায়েত করে এসে সংখ্যাগরিষ্ঠ ১৫ জন সদস্য অনাস্থার স্বপক্ষে তাদের হাজিরাও দেন মহকুমা শাসকের কাছে। ১৫ জন সদস্য এই অনাস্থা এনেছিলেন। ফের প্রকাশ্যে এই দলীয় কোন্দল- যে প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের হুঁশিয়ারি। দলগত ভাবে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।