তৃণমূলের সভায় গরহাজির সভাধিপতি, কীসের ইঙ্গিত !

Published By: Madhyabanga News | Published On:

প্রশান্ত শর্মাঃ ৬ নভেম্বরঃ বহরমপুরঃ শক্রবার বহরমপুরে তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে দলের ডাকে সভা জেলাপরিষদের সদস্যদের নিয়ে। সভায় এলেন না খোদ সভাধিপতি, গরহাজির থাকলেন একাধিক কর্মাধ্যক্ষ ; সভা এড়ালেন দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত সদস্যদের বড় অংশ।
কী এমন হল এই সভাঘিরে ? সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। সভার ঘোষণা ঘিরেই ছিল কোন্দলের আভাস ।
প্রয়াত কর্মাধক্ষ্য মফিজুদ্দিন মন্ডলের উত্তরসুরি কে হবে , তা নিয়ে সভা থাকলেও ; আসলে সভার মূল বিষয় ছিল জেলা পরিষদ ঘিরে তৈরি হওয়া ফাটল । তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, খড়গ্রামে প্রয়াত নেতার স্মরণ সভা কোন ব্যানারে হবে সেই বিষয়েও শিলমোহর পড়ার কথা ছিল এই সভায়। সন্দেহ ছিল, সভায় আসবেন না খোদ সভাধিপতি সহ সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মধুর অনুগামীদের এক অংশ। সভা শুরু হতেই বোঝা যায়, কার্যত সত্যি হয়ে দাঁড়ায় রাজনৈতিক মহলের সন্দেহ ।
শুক্রবার দুপুরে নির্ধারিত সময়ের দু’ঘন্টা পরে সভা শুরু হয় । ঘড়ির কাঁটা এগলেও সভায় এসে পৌঁছাননি মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন, সহকারী সভধিপতি বৈদ্যনাথ দাস, খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মইদুল ইসলাম, বিদ্যুৎ ও কুটির শিল্প কর্মাধ্যক্ষ সামসুজ্জোহা বিশ্বাস, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আনারুল হক বিপ্লব সহ আরও বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা । সভায় জেলাপরিষদ সভাধিপতির নামে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরব হন সদস্যের এক অংশ। অভিযোগে প্রচ্ছন্ন সায় ছিল নেতৃত্বেরও। জেলা পরিষদ নিয়ে সভায় নেই খোদ জেলা সভাধিপতিই ! অনুপস্থিতিতে ফুটে উঠেছে অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবিই ।
সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জেলা সভাপতি আবু তাহের খানের বক্তব্য, পদাধিকারীরা কাজের বাহান দেখিয়ে আসছেন না , নাকি অজুহাত দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইল করছে সেটা দল খোঁজ নিচ্ছে ।তবে ৪২ -৪৩ জন সদস্য এসেছিলেন। যদিও এই মুহূর্তে জেলা পরিষদে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ৬৮ জন। আবু তাহের বলেন, ‘৮ই নভেম্বরের স্মরণসভা দলীয় ব্যানারেই হবে। দলই সভা পরিচালনা করবে ’। এই প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, রাজ্য নেতৃত্ব যে নির্দেশ দেবে সেই ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । দল সবার উপরে।
যদিও, ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মধুর গলায়, ব্ল্যাকমেল বা বাহানার তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে তার দাবি, অসুস্থ ছিলেন সেই কারণের সভায় যেতে পারেন নি। সাথেই তীর্যক মন্তব্য , ৫ জন কর্মাধ্যক্ষ সহ ৩৯ জন সদস্য সভায় অনুপস্থিত ছিলেন , মাত্র ২৯ জন উপস্থিত ছিলেন এটা দুর্ভাগ্যজনক । স্মরণ সভা কোন ব্যানারে হবে সেই প্রশ্নেও ধোঁয়াশা রেখেছেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি।
দুই পক্ষের মন্তব্যেই পরিষ্কার , ফাটল চওড়া হচ্ছের মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে। চলছে দড়িটানাটানি । বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। জেলাপরিষদের ভবিষ্যৎ কী ? উত্তর খুঁজছেন জেলার মানুষ।