তৃণমূলের বাড়ি বানাবেন হুমায়ুন, ডেভিড, জাফিকুল, নাড়ুগোপাল

Published By: Madhyabanga News | Published On:

‘আমি নিজের বাড়ি বানাই নি। তৃণমূলের বাড়ি বানাবেন হুমায়ুন, ডেভিড, জাফিকুল, নাড়ুগোপাল ‘, দলীয় সভায় এভাবেই মুর্শিদাবাদ বহরমপুর জেলা কমিটির ভবন নির্মাণ নিয়ে আহ্বান রাখলেন সভাপতি শাওনি সিংহ রায়।স্থায়ী কোন ভবন নেই জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের। অস্থায়ী কার্যালয় থেকেই দীর্ঘদিন চলছে কাজ । একুশের নির্বাচনের পর এবার নিজেদের বাড়ির পরিকল্পনা নতুন সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের।

যদিও প্রাক্তন সভাপতি আবু তাহের খানও  বাড়ি তৈরীর জন্য অনেকটা এগিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ির জমি নিয়ে মেলেনি রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সম্মতি দেবেন তবেই চুড়ান্ত হবে  মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল ভবন তৈরির জমির পাওয়ার বিষয়টি। এদিনের জমি না পাওয়ার আক্ষেপের কথা প্রকাশ্যেই জানালেন আবু তাহের খান। শেষপর্যন্ত  জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহের মোক্ষম দাওয়াই, বাড়ি তৈরির দায়িত্ব যাচ্ছে তিন হেভিওয়েট বিধায়ক ও এক হেভিওয়েট টাউন সভাপতির কাঁধে।

নিজেই বললেন, নিজের বাড়ি বানানোর ঝক্কি মাথায় নেননি শাওনি। তাই চান, দলের নেতারাই নিন ভবন নির্মাণের দায়িত্ব। ভাবনায় অবশ্য সায় মিলেছে নেতাদেরও।

দল চালাতে দলের জেলা দপ্তর রয়েছে সব দলেরই। তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান জেলা দপ্তরের পাশেই রয়েছে সিপিআই(এম) ‘এর জেলা দপ্তর, বহরমপুর জেল খানার উলটো দিকে রয়েছে কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়, বিজেপির জেলা অফিস আছে পুরোনো হাসপাতাল এলাকায়। অন্যদিকে দীর্ঘদিন রাজ্যে শাসনে থাকলেও ঘরের সংকট মিটছিল না তৃণমূল কংগ্রেসেই।
এবার জেলায় তৃণমূলের ভবন নিয়ে শুরু হল পরিকল্পনা। মুর্শিদাবাদ জেলা দুই ভাবে বিভিক্ত হওয়ার পর এদিন ছিল দলের মুর্শিদাবাদ বহরমপুর জেলা কমিটির নেতাদের  প্রথম মিটিং।
শাওনি সিংহ রায়ের ডাকা মিটিং’এ উপস্থিত ছিলেন দলের নেতারা। তাদের সামনেই দলের ভবনের প্রস্তাব দেন শাওনি।
কংগ্রেসের রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ শাওনি ভালোই বোঝেন দল চালনায় স্থায়ী দপ্তরের প্রয়োজনীয়তা। তিনি চাইছেন, মানানসই স্থায়ী দপ্তর থেকেই চলুক দল। সেই দিক থেকে এই সিদ্ধন্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন দলের একাংশ।

দলের বাড়ি তৈরির জন্য নিজেদের সরকারের কাছে জমি পেতে হয়রানি নিয়ে গুঞ্জন ওঠে দলের সভাতেই।  শেষ পর্যন্ত বিতর্কে জল ঢালার জন্য বাড়ি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন রাজ্য তৃণমূল সহ সভাপতি মইনুল হাসানও । তিনি জেলা নেতৃত্বকে আশ্বস্ত করেন,  রাজনৈতিক দলের  জমি পাওয়ার  বিষয়ে ফাইলে মুখ্যমন্ত্রীই একমাত্র সম্মতি দেন। মুর্শিদাবাদ জেলা ক্ষেত্রেও দ্রুতই এই সম্মতি মিলবে। তারপরেই গুঞ্জন কিছুটা কমে।