মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরোঃ ১ মার্চঃ একুশে ভোটে মুর্শিদাবাদে একঝাঁক নতুন মুখে ভরসা রাখছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দলীয় দপ্তরে জমা পড়া সিভি ঝাড়াই বাছাই করেছে পিকে। নিজের তালিকাও জমা দিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার কর্মীরা।
সেই তালিকাই এখন কালীঘাটে। আর রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায় তালিকায় নাম থেকে নেতারা। সব প্রক্রিয়ার শেষে তালিকায় থাকছে একঝাঁক নতুন মুখের।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর স্বচ্ছ ভাবমূর্তির , নতুন প্রার্থীদের উপরই ভরসা রাখছে দল। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি মুর্শিদাবাদে ২০১৬’র ভোটে আশাপ্রদ ফল পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। শুধুমাত্র সাগরদিঘি, জঙ্গীপুর, হরিহরপাড়া এবং সামসেরগঞ্জ কেন্দ্রে জয়ী হয় শাসক দলের প্রার্থীরা।
একুশের ভোটে তাই অনেক কৌশলী হতে চাইছে দল।
কান্দীতে কান পাতলে সুকান্ত ত্রিবেদীর নাম। কান্দী পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন, সভাপতি শিক্ষক ,
স্বচ্ছ ভাবমুর্তির সুকান্ত ত্রিবেদীকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছে কান্দী বিধানসভা কেন্দ্রে।
ডোমকলে নতুন প্রার্থী হতে পারেন ডোমকল পৌরসভার চেয়ারম্যান জাফিকুল ইসলাম।
ভগবানগোলায় প্রয়াত সাংসদ মান্নান হোসেনের পুত্র রাজীব হোসেন প্রার্থী হতে পারেন বলেই দলীয় সুত্রে খবর ।
ভরতপুরে প্রার্থী হিসেবে নাম উঠে আসছে শাহনাওয়াজ বেগমের । বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কৃষি সেচ সমবায় কর্মাধক্ষ্য।
নওদা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক সাহিনা মমতাজ বেগমকে সরিয়ে প্রার্থী করা হচ্ছে সফিউজ্জামান সেখ ওরফে হাবিব মাস্টারকে।
লালগোলায় চাঁদ মহম্মদ, মহম্মদ সোহরাবের সাথে দৌড়ে নাম লিখিয়ে প্রার্থী হতে পারেন পঞ্চায়েত সমতির সভাপতি জাহাঙ্গীর মিঞা। স্বচ্ছ ভাবমুর্তি, জনসংযোগে বাকিদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
ফারাক্কায় দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাংসদ খলিলুর রহমানের ভাই জিয়াউল রহমান।
বেলডাঙ্গা বিধানসভা থেকে প্রার্থী হতে পারেন অরিত মজুমদার। আগেও কংগ্রেসের হয়ে নবগ্রামে দাঁড়িয়েছিলেন অরিত। বহরমপুরের সাংসদের প্রাক্তন আত্মীয় অরিত বর্তমানে দলের কোঅর্ডিনেটারদের মধ্যে অন্যতম।
আরেক কোঅর্ডিনেটার সৌমিক হোসেন প্রার্থী হচ্ছেন রানিনগর থেকে। বিড়ি শ্রমিক অধূষ্যিত সুতি কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে পারেন বিড়ি শিল্পের মালিক শাহাজাহান বিশ্বাস।
দলের ভেতর বিদ্রোহ থামিয়ে কান্দীর বড়ঞা বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা পরিষদের সহ সভাপতি বৈদ্যনাথ দাস।
বহরমপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন নাড়ু গোপাল মুখার্জি।
একঝাঁক নতুন মুখের ভরসাতেই ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে তৃণমূল। তবে, বিরোধীদের টিপ্পনী, যাকেই প্রার্থী করুক, গোষ্ঠীকোন্দল এড়াতে পারবে না তৃণমূল।