নিজস্ব সংবাদদাতা, সামসেরগঞ্জঃ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন সামসেরগঞ্জের তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ হালদার । আর বিশ্বনাথের মৃত্যুর পর বিধায়ক আমিরুল ইসলামের সাহায্য ফিরয়ে দিল মৃতের পরিবার । দুপুরেই মৃত তৃণমূল নেতার বাড়ি যান সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। মৃতের বাবা, মাকে সান্ত্বনা দেন বিধায়ক। হাতে তুলে দিতে যান কিছু টাকাও। কিন্তু সেই টাকা নিতে অস্বীকার করে মৃত তৃণমূল নেতার পরিবার। মৃতের দিদি উলু হালদার সাফ জানান, সৎকার করবে পরিবারই। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছে মৃতের মায়ের গলাতেও। বিশ্বনাথের মা সবিতা হালদার বলেন, ” প্রধান করবে বলে তৃণমূল আমার ছেলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। সেই টাকা জোগাড় করতে লোকের কাছ থেকে ধার করেছিল। সেই ধার শোধ দিতে পারবে না বলে টেনশন হচ্ছিল। সেই টেনশন থেকে বিষ খেয়েছে বলে জানিয়েছিল আমার ছেলে।”
মঙ্গলবার বিষ খাওয়ার কথা জানার পর পরিবারের লোকজন বিশ্বনাথ হালদারকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে বুধবার সকালে মৃত্যু হয় বিশ্বনাথের। এদিকে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। মৃত্যুর আগে এক ভিডিও বার্তায় ওই নেতা দাবি করেন তাঁর স্ত্রীকে প্রধান করার লোভ দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন তাঁরই দলের সদস্যরা। আর সেই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সামসেরগঞ্জের নিমতিতায়।
মৃত বিশ্বনাথ হালদার নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মালা হালদারের স্বামী। মালার অবশ্য দাবি, ” কেন বিষ খেয়েছিল তা আমি জানি না। আমরা বাড়ির ওপর তলায় মঙ্গলচন্ডীর পুজো করছিলাম মঙ্গলবার। ওইদিন নিচের তলায় ও বিষ খেয়ে আমার শ্বাশুড়িকে বিষ খাওয়ার কথা জানায়।”
ভিডিও বার্তায় বিশ্বনাথ জানান তাঁকে নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে প্রচুর টাকা পয়সা নিয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সামিউল হক ও প্রধান মইদুল ইসলাম এবং দলেরই আরও বেশ কয়েকজন। সে তাঁর বৌদি শালি ও নিজের সোনার গহনা বন্ধক রেখে টাকা দিলেও সেই টাকা আর ফেরত পাচ্ছেন না। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মধ্যবঙ্গ নিউজ। তবে বিশ্বনাথ ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ও পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁদের দাবী এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।