ডোমকলে প্রদীপ চাকির উপর হামলায় ২ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ ডোমকলে  প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান, তৃণমূল নেতা  প্রদীপ চাকীর উপর হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করল ডোমকল থানার পুলিশ। দু’জনেই তৃণমূল কর্মী বলে জানা গিয়েছে।  রবিবার ধৃতদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ সুত্রে খবর।

ধৃত মকবুল সেখ ১১ নম্বর ওয়ার্ডের খান সাহেব পাড়া এবং আনোয়ার রফিক ওরফে সিটুর  বাড়ি ডোমকলের রমনা সাতবাড়িয়া এলাকার । সোমবার দুজনকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে জেলা আদালতে পাঠানো হয় । সুত্রের খবর ধৃত মকবুল শেখ ১১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি। আনোয়ার রফিক ওরফে সিটুও তৃণমূল কর্মী।   রবিবার দুপুরে ডোমকলে আক্রান্ত হন ডোমকল পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল নেতা প্রদীপ চাকি। বর্তমানে তিনি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ডোমকল পৌরসভার  প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান, তৃণমূল নেতা  প্রদীপ চাকীর উপর হামলা হয়েছে রবিবার দুপুরে ।  ডোমকলের মাহিস্য পাড়া এলাকায় প্রদীপ চাকী বসেছিলেন  ছেলের পানশালায় । সেই  সময় কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ । লোহার রড, পিস্তল ও বাঁশ  নিয়ে হামলা চালান হয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় প্রদীপ চাকী দাবি করেন, বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের চক্রান্তের শিকার তিনি।

ঘটনায় কার্যত বিপাকে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনার সাথে রাজনীতির যোগ নেই বলে দাবি করেছেন  ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম। ডোমকলের বিধায়ক, পৌরসভার প্রশাসক জাফিকুল  বলেন, “এই ঘটনার সাথে রাজনীতির সম্পর্ক নেই, কোন নেতাকর্মী জড়িত নেই। পানশালার খরিদ্দারের সাথে মালিকের ঝামেলা  ”। জাফিকুলের আরও  দাবি, ছেলের পানশালায় খরিদ্দারদের সাথে ঝামেলা হয়েছে। সেই ঝামেলাতেই আহত হয়েছে তৃণমূল নেতা ।

এদিন দুপুরেই তৃণমূলের প্রক্তন কাউন্সিলার  প্রদীপ চাকীর বিরুদ্ধে দুর্নিতির অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা । তার পরপরই এই হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে ডোমকল জুড়ে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রদীপ চাকি কে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৮ নভেম্বর জাফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রদীপ চাকী।  তারপর এদিনের হামলায় সামনে এসেছে গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ।

তৃনমূল নেতার উপর হামলায়  ঘটনার সাথে দলের যোগ এড়ানোর  চেষ্টা করেছেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ, বহরমপুর মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান  আবু তাহের খানও । বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রদীপ চাকীর সাংবাদিক সম্মেলনের  নিন্দাও করেন  আবু তাহের খান । আবু তাহের খান বলেন, “কয়েকদিন  আগেই সে বিধায়কের বিরুদ্ধে যা মুখে এসেছে তাই বলেছে।  তাই তার  মনে হচ্ছে,  পরোক্ষ  ভাবে হয়তো এমএলএ সাহেব মদত দিয়েছে ।  এটা তার  ধারনা। তবে আমার মনে হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত  ভাবে রাজনৈতিক অভিসন্ধি ঘটিয়ে তাঁর বদনাম করার চেষ্টা করছে ,  তাঁর চরিত্রে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে । এটা দুর্ভাগ্য”।

তবে ২ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতারের পর কার্যত অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। আরও  এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগ।