ডোমকলের দুই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু

Published By: Madhyabanga News | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, ডোমকলঃ কলকাতায় কাজ করতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হলো এক রাজমিস্ত্রীর। মৃত ওই শ্রমিকের নাম আক্তারুল সেখ ওরফে মেজু (৪২)।  আক্তারুলের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকলের কুশাবেড়িয়া এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্তারুল বছর খানেক ধরে কলকাতায় এক ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতে শুরু করেন। তার আগে ভিন রাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করার অভিজ্ঞতাও ছিল আক্তারুল। কলকাতায় ঠিকমতো মজুরি না পাওয়ায় বাড়ি চলে আসে আক্তারুল। মৃত ওই শ্রমিকের পরিবারের দাবি, দিন দশেক আগে পাওনা মজুরি দেওয়ার জন্য ফোন করে ঠিকাদার আক্তারুলকে ডাকেন। রবিবার গভীর রাতে আক্তারুলের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় ছাদ থেকে পরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যদিও সে কথা মানতে নারাজ আক্তারুলের পরিবার। পরিবারের দাবী খুন করা হয়েছে তাঁকে। মৃতের প্রতিবেশী মোহনলাল মন্ডল বলেন, ” আমরা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি বারাসাত হাসপাতালে মেজুকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আমরা জানিনা কীভাবে ও মারা যায়। শুধু শুনেছি ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওর।” মৃতের আত্মীয় রাশিয়া বিবি বলেন, ” মজুরি দেওয়া নিয়ে ঠিকাদারদের সঙ্গে ঝামেলা হয়। শুনেছি ওই ঠিকাদারই ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলেছে।”  কলকাতার এয়ারপোর্ট থানার গোপালপুর হাউস এলাকায় ঘটে এই ঘটনা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাদন্তের জন্য পাঠায়। সোমবার রাতে গ্রামের বাড়িতে ফেরে নিথর আক্তারুলের দেহ।

ডোমকলের আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয় মঙ্গলবার। হায়দ্রাবাদে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে নজরুল মিঞার। যুবক নজরুলের মৃত্যূতে শোকের ছায়া ডোমকলের যুগিন্দা বিশ্বাস পাড়া এলাকায় । পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ১৯ এর নুজরুল মিঞা দীর্ঘদিন ধরে বাবা মায়ের সাথে দিল্লিতে থাকতো। সেখানেই  শ্রমিকের কাজ করতো সে। দিন ১৫ আগে সে বাবা’মার কাছ থেকে হায়দ্রাবাদে রাজমিস্ত্রীর কাজে যায়। মঙ্গলবার সকালে  উপ্পল রিংরোড এলাকায় ঢালাইয়ের কাজ করছিল। সেখানে কাজ করার সময় অসাবধনতা বসতো ঢালাই মেশিনে তার মাথা ঢুকে যায়। সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তরতাজা যুবকের। এলাকার বাসিন্দা মোয়াজ্জেম মন্ডল বলেন, ” এর আগে কোনওদিন নির্মাণ কাজ করেনি। আগে ভ্যান চালাতো। এই প্রথম এই কাজ করতে গিয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।” নুজরুলের মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে আসতেই শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা।