নিজস্ব প্রতিবেদনঃ মহার্ঘ্য কাচা লঙ্কা। লঙ্কার ঝাঁঝে চোখে জল আসছে বাঙালির। একদিকে করোনার জ্বালা অন্য দিকে আবার রয়েছে পেটের জ্বালা। বাজারে সব্জি কিনতে গেলে দাম শুনে ঘুম উড়ে যাওয়ার যোগার গৃহস্থের। এমনিতেই এবছর মুর্শিদাবাদ জেলায় অতি বৃষ্টির জেরে সব্জি পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছে মাঠেই। কাঁচা লঙ্কার হটাত দাম বাড়ার মূল কারণ অতি বৃষ্টি। অতি বৃষ্টিতে লঙ্কার গাছে পচন লাগছে। এবং লকডাউনের ফলে কাচা লঙ্কার আমদানি রপ্তানি দুটোই কমে গিয়েছে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যাবসায়ীরা জানাচ্ছেন বাজারে লঙ্কা পাওয়া গেলেও লঙ্কার দাম বেশি।তবে দাম পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিদিনই। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন বাজারে আমদানির ওপর নির্ভর করছে প্রতিদিনের বাজার দর।
বহরমপুরের বাজারে পাইকারি ১০০ টাকা কিলো কাঁচা লঙ্কা। ৩০-৪০ টাকা থেকে হটাত দাম বেড়ে ১০০ টাকা।বিক্রেতারা জানাচ্ছেন আমদানি কমেছে আগের তুলনায়। এবছর বর্ষায় চাষে ক্ষতি তার জেরেই দাম বেশি। পরেও বাড়তে পারে দাম জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।
লকদাউনের জেরে এমনিতেই পকেটে টান মধ্যবিত্তের। তার মধ্যে সব্জি বাজারে এসে সব্জি ছুতেই যেন হাতে ছ্যাকা খাচ্ছেন ক্রেতারা। লঙ্কা কিনছেন ১৫ টাকা শ। তাতেই কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতা।
মুর্শিদাবাদ জেলায় বেলডাঙা ও হরিহর পাড়া এলাকায় সবথেকে বেশি কাচা লঙ্কা উৎপাদন হয়। সেই বেলডাঙ্গায় এবার কাচা লঙ্কার উৎপাদন কমে গিয়েছে। করোনা রুখতে সপ্তাহে দু দিন লক ডাউন, বন্ধ থাকছে বাজার। আগত ক্রেতাদের অনেকেই বলছেন এমনিতেই সব্জি বাজার চড়া তার ওপর দুদিন বাজার বন্ধের ক্ষতি মেটাতে দ্বিগুণ দাম নিচ্ছে বিক্রেতারা। আর এতেই সমস্যার মুখে সাধারন মানুষ।