জুনে ‘সৌজন্য’ , জুলাইয়ে ‘যোগদান’ ! আবার বড় ভাঙন মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসে ?

Published By: Madhyabanga News | Published On:

প্রশান্ত শর্মাঃ১৯জুনঃ  সৌজন্যে সিঁদুরে মেঘ দেখছে কংগ্রেস। অধীর গড়ে ভোটে অবশেষে সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভার ভোটে  কংগ্রেস পায়নি একটিও সিট। ভোট ঠেকেছে তলানিতে। তলানিতে নেতাদের মনোবলও। সেই সুযোগেই দল বাড়াতে চাইছে তৃণমূল। এর মাঝেই  সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে ফারাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক মইনুল হক আর রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক, মন্ত্রী আখরুজ্জামানের ছবি। একসাথে আড্ডার মেজাজে দুই দলের দুই নেতার  এই ছবিই কংগ্রেস শিবিরের মাথাব্যাথার কারণ। শক্রবার ফারাক্কা যান  আখরুজ্জামান। সেখানে দলীয় কাজ সেরে যান কংগ্রেস নেতার বাড়ি। ছবিও তোলেন আড্ডা দিতে দিতে। ব্যাখ্যাও দেওয়া হয় , সৌজন্য দেখাতে এসেছেন মন্ত্রী। তবে সৌজন্য থেকেই উঠছে রাজনীতির প্রশ্ন।

একই ছবি দেখা গিয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেও। কিছুদিন আগেই জঙ্গীপুরে অভিজিৎ’এর বাড়িতে যান তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি আবু তাহের খান, জঙ্গীপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান সহ জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা, ছিলেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও। পরে অবশ্য অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় সাফাই দেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই জঙ্গীপুর ভবনে এসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা।

কিছু বছর আগে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূলে যান আখরুজ্জামান, কংগ্রেস থেকেই তৃণমূলে এসে নেতা হয়েছেন  আবু তাহের খানও। এই নেতাদের পুরোনো দলের নেতাদের সাথে যোগাযোগ অবশ্য ভালো চোখে দেখছে না কংগ্রেস শিবির ।

৬ জুন  অভিজিৎ একটি টুইট করেন।সেখানে তিনি চান  জঙ্গীপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ুন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে অভিজিৎ চান,  মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সমর্থন করুক প্রদেশ কংগ্রেসকেও। এই টুইটের প্রায় দিন তিনেক পরেই অভিজিৎ’এর বাসভবনে যান তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার শীর্ষ নেতারা।

তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সাথে বৈঠকের পর দলের পদ থেকে সরানো হয়েছে হরিহরপাড়ার কংগ্রেস প্রার্থী মীর আলমগীর পলাশকে। নির্বাচনের হারের পরেই তৃণমূল নেতাদের সাথে বৈঠক করেছিলেন পলাশ।

একাধিক কংগ্রেস হেভিওয়েট নেতা গোপনে যোগাযোগ রাখছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে। নেতাদের বোঝাতে কার্যত ব্যর্থ জেলা কংগ্রেসের নেতারা।

প্রশ্ন উঠছে, তবে কী দলীয় শাস্তি এড়াতে ঢাল করা হচ্ছে সৌজন্যকে ?

তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেস মহলে অবশ্য অন্য হাওয়া বইছে। জুন মাসের ৩০ তারিখ অবধি রাজ্যে চলবে বিধিনিষেধ। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জেলায় ঘটতে চলেছে  বড় রাজনৈতিক বদল। এই বর্ষায় রাজনীতির জল কোন দিকে গড়ায়, সেই দিকেই নজর জেলাবাসীর । জুন মাসে যেটা  ‘সৌজন্য’ বলে মনে হচ্ছে  , জুলাই পড়লেই সেটা যে  ‘যোগদান’ হয়ে যাবে না সেই গ্যারিন্টি দিতে পারছেন না কেউই।