জীবন সাহা কি গ্রেফতারের পথে ? মোবাইল ফেলে দিয়েছেন জলে। টানা সিবিআই জেরা

Published By: Madhyabanga News | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা,কান্দিঃ জীবন সাহা কি গ্রেফতারের পথে? সিবিআই সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময়  আচমকা উঠে চলে যান জীবন। তাঁর ব‍্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলে দেন পুকুরে। পাশের আমবাগানেও খোঁজেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায়নি বিধায়ক তথা শিক্ষকের মোবাইল। পুকুরে তল্লাশির পরও উদ্ধার হয় নি মোবাইল। তবে তাতেই থামতে রাজি নন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁরা জানান, পুকুরে জল ছেঁচে খোঁজা হবে মোবাইল। ইতিমধ্যে বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার বিভিন্ন মার্কশিট, পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড সহ প্রচুর নথি। যা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের শিক্ষক নিয়োগ কান্ডের গোড়ায় পৌঁছতে  সুতোর ভূমিকা নেবে বলে দাবি সিবিআই আধিকারিকদের।

শুক্রবার সকাল থেকে টানা সিবিআই জেরায় জেরবার বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা । দুপুর প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ শুরু হওয়া তল্লাশি চলছে প্রায় দশ ঘন্টা ধরে । নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে  জীবন সাহার আন্দির বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। এখনও চলছে জেরা । প্রশ্ন উঠছে, জীবন সাহা কী গ্রেফতারের পথে ? সাড়ে সাতটা নাগাদ আরো ৬ জনের দল ঢোকেন।  দিনভর কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে বিধায়কের আন্দির বাড়ি। সূত্রের খবর  প্রমাণ  লোপাটে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা তার  মোবাইল ফেলে দিয়েছেন জলে।    সিবিআই সূত্রের দাবি, বাড়ির মধ্যে থেকে আম বাগানের পুকুরে  ফেলে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে মোবাইল। আমবাগানে ফেলা হয়ে থাকতে পারে নথি। আম বাগানে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালায় সিবিআই।  নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে মুর্শিদাবাদ-বীরভূমের ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই।

তল্লাশি সিবিআইয়ের

সুত্রের দাবি, রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির কান্ডের নয়া সূত্রের খোঁজেই বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে মুর্শিদাবাদে এসেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।  সিবিআই সূত্রের দাবি,  চলতি বছর ফেব্রয়ারি মাসে শিক্ষক নিয়োগ কান্ডে ছ’জনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সেই ছ’জনের মধ্যে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের ভড়ঞার বাসিন্দা কৌশিক ঘোষও ছিলেন। যিনি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে যুক্ত ধৃত কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে তদন্তে জানতে পারে সিবিআই।  সেই সময় কেন্দ্রের এই তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে কৌশিকের ঘনিষ্ঠতার আঁচ পেয়েছিলেন বলে সিবিআই সূত্রের দাবি। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে বিধায়কের বাড়ি। বাড়ির দরজা বন্ধ করে বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।