১৯২৯ সালে জিয়াগঞ্জে ভোট প্রচারে ডাক পড়েছিল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর। ১৯২৯ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন স্থানীয় জমিদাত তাজ বাহাদুর দুগড়। বিরোধী ছিলেন নেহালিয়ার জমিদার রায় বাহাদুর সুরেন্দ্রনাথ সিংহ। তাজ বাহাদুর দুগড়ের হয়ে সভা করে সুভাষ।
শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাসের ভাই বিপ্লবী কিরণ চন্দ্র দাসকে সাথে নিয়ে সভায় আসেন সুভাষ চন্দ্র বসু। বিধায়ক ভট্টাযার্য তখন বগলারঞ্জন ভট্টাচার্য নামেই পরিচিত ছিলেন। তিনি গাইলেন , “ দেশ দেশ নন্দিত করি- মন্দ্রিত তব ভেরী”।
সভা শেষে সুভাষ বসুকে উপহার দেওয়া একটি ‘কিরিচ’। সেদিন রাত্রে সুকুমার অধিকারীর ভট্টপাড়ার বাড়িতে আথিত্য গ্রহণ করেন সুভাষ। নির্বাচনের দিন তাঁকে ভোটকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সুরেন্দ্রনারায়ণের নির্বাচনী কর্মকর্তারা সুভাষ বসুকে অযাচতি ভাবেই অপমান করেন। সেই খবর দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়তেই ভোট বাড়তে থাকে তাজ বাহাদুরের পক্ষে। নির্বাচনে পরাজয় হয় সুরেন্দ্রনারায়ণের।
এরপরেও একাধিকবার সুভাষ জিয়াগঞ্জে এলে সুকুমার অধিকারীর বাড়িতেই উঠেছিলেন।
সুকুমার অধিকারী সুভাষের সমর্থক ছিলেন, ছিলেন বিপ্লবী কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত। সুকুমার অধিকারীর ভাইয়ের স্ত্রী মণিমালা দেবী আর তাঁর বোন মৃণাল দেবীও সুভাষ ঘনিষ্ট ছিলেন। জিয়াগঞ্জে এলে কখনো লালমিঞা, কিরণচন্দ্র দাশ, আসরাফুদ্দিন চৌধুরীদের নিয়ে আসতেন সুকুমার অধিকারীর বাড়ি।
মণিমালা দেবীকে সুভাষ দিদি বলেই ডাকতেন। মুর্শিদাবাদে মহিলা সমিতির কাজে খুশিও হয়েছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। মৃণাল দেবীকে চিঠি লিখে সেই কথা জানিয়েছিলে।