জামিন পেয়েই বহরমপুর পৌরসভার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বহরমপুর প্রাক্তন পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য।শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এদিন সন্ধ্যায় জামিন পান তিনি।
শুক্রবার রাতে নীলরতন আঢ্যের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় Berhampore Police Station দায়ের হয় অভিযোগ। এফআইআরের ভিত্তিতে শনিবার সকালে প্রাক্তন পুরপ্রধানকে গ্রেফতার করে বহরমপুর থানার পুলিশ। আইপিসি’র 354, 354A, 506, 509 ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এদিনই কোর্টে তোলা হয় প্রাক্তন পুরপ্রধানকে। প্রশাসন সূত্রের খবর, অন্তর্বতী কালীন জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। তবে নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে বহরমপুর থানায় হাজির দিতে হবে প্রাক্তন পুরপ্রধানকে।
জামিন পেয়েই নীলরতন আঢ্য জানান, বহরমপুর পৌরসভার তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের ধারাবাহিক তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন তিনি। বলেন, “ পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে প্রশাসকের জায়গা আমাকে দেওয়া হয়নি। আজকে যেভাবে নোংরামি চলছে, শহরের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তার রায় বিধনসভাতে পেয়েছে, তার রায় পৌরসভাতেও পাবে”। নাম না করেই বহরমপুর পৌরসভার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দিকে দোপ দাগেন নীলরতন।
১৮ বছর বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান Chairman, Berhampore Municipality ছিলেন নীলরতন আঢ্য। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে দীর্ঘদিনের দল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন নীলরতন। নীলরতনের সাথেই দল ছাড়েন ১৭ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর। পৌরসভার ক্ষমতা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে। ২০১৮ সালে পৌরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষের পর দলের সাথে যোগাযোগ কমে আসে নীলরতনের। বর্তমানে পৌরসভা নিয়ন্ত্রণ করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনে বহরমপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন তিনি। তবে এই কেন্দ্রে জয়ী হয় বিজেপি। নীলরতন আঢ্য অবশ্য জামিন পেয়েই, বিধানসভা নির্বাচনের ফলের কথা মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন।
নীলরতন আঢ্য এদিন বলেন,ভদ্রতবশতই এতোদিন চুপ করেছিলেন। আর চুপ করে থাকবেন না।
এদিন সকালে গ্রেফতারের পরেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দিকে চক্রান্তের অভিযোগ আনেন নীলরতন আঢ্য, প্রাক্তন পুরপ্রধানের কন্যা শিল্পী আঢ্য। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায় ।