জানেন কি ধুনো পোড়ানোর এই রীতির রহস্য ?

Published By: Madhyabanga News | Published On:

সাইনি আরজুঃ  দুর্গাপুজোর পরেই বাঙালির আরেক বড় উৎসব, জগদ্ধাত্রী পুজো। জগতের ধাত্রী অর্থাৎ ধারণ কর্ত্রী। দেবী জগদ্ধাত্রী পার্বতীরই অপর রূপ। পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জায়গায় পুজো হলেও মূলত কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরে মহা ধূমধামের সঙ্গে জগদ্ধাত্রী পুজো হয় এবং এই পুজো বেশ জনপ্রিয়।

বুড়িমা, ছোটো মা, মা মধ্যমণি, মহেশ্বরী মাতা, জলেশ্বরী মা – কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে রয়েছে অনেক অলৌকিক কাহিনী। লোকমতে  খুব ‘জাগ্রত’ এই মন্দিরে প্রতি বছর মানত করেন অনেক ভক্তরা। কৃষ্ণনগর এর মালোপাড়া বারোয়ারীতে বহু বছর ধরে চলে আসছে এই প্রথা।
মানত পূরণ হলে প্রথা মেনে ধুনো পোড়ানো  হয় নবমীর পুজোর সময়। শুধু তাই নয়, নিয়ম মাফিক, তাকে পুজোর আগের দিন থেকে নিরামিষ ভোজন করতে হবে।
জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন সূর্য ওঠার আগে গঙ্গা জলে স্নান করে, ভেজা অবস্থাতেই মন্দির এ পুজো দিতে হবে।দুপুর বেলা নবমীর পুজোর সময়, সেই ব্যক্তি   কাপড় জড়িয়ে বসে থাকে। তার মাথায় এবং দুই হাতে এভাবে
ধুনো পোড়ানো  হয়। এই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমান ভক্তরা।
এবছর ও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
প্রতি বছরের মতো এ বছর ও ভিড় উপচে পড়ে নবমীর পুজোর সময় ধুনো পড়ানো দেখতে। কথিত আছে, নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরেই জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রবর্তন হয়। দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর প্রচলন করেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র।