জলের তলায় গ্রামের পর গ্রাম – চরমে জল যন্ত্রণা

Published By: Madhyabanga News | Published On:

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ভাসছে রাস্তা, নোংরা জমা জল ঢুকেছে বাড়ির অন্দরে। জলের তলায় পানের জলের কল। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোনরকমে দিন গুজরান বাসিন্দাদের। এক দিন দু দিন নয়- জলে জলাকার অবস্থা প্রায় মাস খানেক ধরে। জল নিকাশি ব্যবস্থা একেবারেই স্তব্ধ। জলমগ্ন অবস্থায় দুর্দশার এই ছবি মুর্শিদাবাদের নওদার বালী 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত একাধিক জায়গার। জলের তলায় শ্যামনগর, দমদমা, কামাদপুর, থেকে কামাদপুর মাঠপাড়া। কোথাও এক হাঁটু কোথাও আবার এক কোমর জল। কোনটা রাস্তা, কোনটা বাড়ি, আর কোথায় বা চাষের জমি- বোঝা মুশকিল। ৫০০-র বেশি পরিবার- আজ জলের তলায়।

কামাদপুর- মাঠপাড়ার ১৬টি পরিবার ঘর বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় তাবু খাটিয়ে বাস করছেন। নেই খাবার জল, নেই কোন বিকল্প ব্যবস্থা, মশা মাছির উপদ্রব বাড়ছে-পঞ্চায়েতের তরফেও ত্রান বা কোনরকম সহায়তাও জোটে নি বলেই অভিযোগ। ক্ষোভ জন্মেছে দুর্গতদের মনে।
বর্ষা শুরু হতেই জল জমেছে এইসব এলাকায়। করোনা আবহের মধ্যে অন্যান্য রোগ সংক্রমণের আশংকাও রয়েছে প্রবল। কিন্তু এইভাবেই মাসের পর মাস অতিক্রান্ত- যা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। একদিকে ভারী বৃষ্টি, অন্যদিকে পার্শ্ববর্তি এলাকার জলও ঢুকেছে এইসব এলাকায়। কেন এতদিনেও জল নিকাশির কোন ব্যবস্থা করা হচ্ছে না- সেই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারও।

বালি ২নং গ্রাম পঞ্চায়তে প্রধান অবশ্য বলছেন, কিছু ত্রান বিতরণ হয়েছে। জলমগ্ন এলাকার কয়েকটি পরিবারকে নিকটবর্তী স্কুলেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থার কাজের জন্য জেলা পরিষদে বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রতিশ্রুতি মিলেছে, কিন্তু জলবন্দী দশা থেকে মুক্তি মিলবে কবে? আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় জীবন যন্ত্রণা থকে মুক্তির অপেক্ষায় দিন কাটছে অসহায় পরিবারগুলির।