মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরোঃ২১ মার্চঃ তৃণমূলের প্রার্থী বদল চেয়ে এবার রাস্তা অবরোধ, আগুন জ্বেলে বিক্ষোভ জলঙ্গীতে। ‘রাজ্জাক হটাও, জলঙ্গী বাঁচাও’ স্লোগান দিয়ে বহরমপুর জলঙ্গী রাজ্য সড়কের উপর বসে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। জ্বালানো হয় বিদায়ী বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাকের কুশপুতুলও। মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে চলে বিক্ষোভ।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরিফ বিল্লা বলেন, তিলতিল করে দল গড়ে যখন আমরা জেতার জায়গায়, তখন দলে নাম লেখান বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক। শুভেন্দুর ষড়যন্ত্রতেই রাজ্জাক এখানে দলে আসেন।
আরিফের আল্টিমেটাম, চব্বিশ ঘন্টা সময় দেওয়া হল, প্রার্থী পরিবর্তন করতে হবে। আমরাই যে প্রকৃত তৃণমূল, আমরাই জলঙ্গীতে জেতাতে পারি সেটা দেখিয়ে দেওয়া হবে। দল প্রার্থী না বদলালে নির্দল প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যাবে।
জেলা পরিষদের সদস্য রাফিকা সুলতানার দাবি, এই আসন জিতে আমরা দিদির হাতে তুলে দেবো। প্রার্থী বদল না হলে নির্দল প্রার্থীকে জেতানো হবে।
তার দাবি চারজন জেলা পরিষদ সদস্য, প্রায় সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, বহু পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আছেন বিক্ষুব্ধদের সাথে।
২০১৬ সালে জলঙ্গীতে জয়ী হন সিপিআই(এম) প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক । ২০১৯’এ তিনি যোগদেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
একুশের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছিল এক হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেস নেতারও। স্থানীয়দের একাংশের দাবি ছিল, প্রার্থী করা হোক রাফিনা সুলতানাকে। তবে সেসবে গুরুত্ব না দিয়ে, রাজ্জাকেই ভরসা রাখেন দলনেত্রী।
এদিন চব্বিশ ঘণ্টা সময় দিয়ে বিক্ষুব্ধদের দাবি, প্রার্থী বদল করে যে কাউকে প্রার্থী করলেই তাকে জিতিয়ে আনা হবে।
তবে, রাজনৈতিক মহলের মত, সেই দিকে হাঁটবে না তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজ্জাক অবশ্য দাবি করেন , বিক্ষোভকারীরা দলের কেউ নন।
তবে দলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের ক্ষোভের কথা কার্যত মেনে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি আবু তাহের খান। তিনি জানান, বিক্ষুব্দ নেতাদের বোঝানোর চেষ্টা করবে দল ।
অন্যদিকে এই কেন্দ্রে বামেদের অন্দরে অসন্তোষ আছে সাইফুল ইসলাম মোল্লাকে প্রার্থী করা নিয়েও। দুই দলের ক্ষোভ কোনদিকে এগয়, দেখার অপেক্ষায় জলঙ্গীবাসী।