জলঙ্গীতে দুই প্রধানকে সরাল তৃণমূল , অনাস্থার খেলা শুরু পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েত Tmc Murshidabad

Published By: Madhyabanga News | Published On:

জলঙ্গীর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে হয়ে গেল অনাস্থার সভা। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জেতা সদস্যরা অপসারণ করলেন দলের টিকিটে জেতা দুই পঞ্চায়েত প্রধানকে। নির্বাচন মিটিতেই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের বিরুদ্ধে দলের হয়ে কাজ না করার অভিযোগ এনেছিলেন জলঙ্গীর বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক। বিধায়কের উদ্যোগেই শুরু হল অনাস্থা। এদিন অনাস্থায় অপসারিত হলেন জলঙ্গী  ব্লকের খয়রামারি গ্রাম পঞ্চায়েত ও সাদিখাঁদিয়াড়  গ্রাম পঞ্চায়েতে  পঞ্চায়েত প্রধানরা।

সকাল থেকেই দুই পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে মোতায়েন থাকে বিশাল পুলিশ।  খয়রামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ জন সদস্যের মধ্যে  ১২ জনের সম্মতিতে পঞ্চায়েত প্রধান সেলিনা বিবিকে অপসারণ করা হয়। প্রধান গঠনের আগে আপাতত উপ প্রধান পঞ্চায়েত পরিচালনার দায়িত্বে।

অন্যদিকে সাদিখাঁদিয়াড় গ্রাম  পঞ্চায়েতে মোট ১৭ জন সদস্যের মধ্যে এদিন উপস্থিত ছিলেন ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য। অনুপস্থিত ছিলেন প্রধান রাশিদা বিবি। প্রধানকে অপসারণের পক্ষে ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য সম্মতি জানিয়ে ভোট দেন। প্রধান পদ থেকে অপসারণ করা হয় রাশিদা বিবিকে।

বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই জলঙ্গিতে একাধিক পঞ্চায়েতে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের আভ্যন্তরীন বিবাদ। সেই বিবাদের জেরেই শুরু হল অনাস্থার প্রক্রিয়া।

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, শুধু জলঙ্গী নয়; জেলার একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতেই প্রধানদের সরিয়ে দেওয়া হবে। শুরু হয়েছে সেই প্রক্রিয়াও। প্রধান পদ ঘিরে ফের সরগরম জেলার রাজনীতি। খেলা হবে স্লোগান দিয়ে দল গুছিয়ে নিচ্ছেন  অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস নেতারাই। যদিও দলের নির্দেশ রয়েছে, রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন ছাড়া কোন অনাস্থা আনা যাবে না।

খেলায় কারা নিয়ম মানছেন আর কারা নিয়ম ভাঙছেন, নজর রাখছেন জেলার মানুষ।