দিন দুয়েক আগেই গিয়েছে জন্মদিন। সেই জন্মদিনের আশীর্বাদও মেসেজেই পেয়েছে মেয়ে। বাবা বলেছিলেন, ফিরে এসে সাইকেল কিনে দেবেন। কিন্তু সাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য ফিরে এলেন না বাবা। সোমবার বাড়ি ফিরবে শহীদের কফিন বন্দী দেহ। সাইকেলের জন্য নয়, বাবার জন্য অপেক্ষায় ছোট্ট মেয়ে দিয়া । খড়গ্রামের কীর্তীপুরে শ্যামল দাসের বাড়িতে এখন শুধুই কান্নার রোল উঠছে। হাহাকারের মধ্যেই অপেক্ষায় শ্যামল দাসের মেয়ে।
মণিপুরে সীমান্তে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে খড়গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল দাসের। শনিবার মণিপুর মায়ানমার সীমান্তে জঙ্গিহানায় মৃত্যু হয় আসাম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার সহ পাঁচ জওয়ানের । মৃত্যু হয়েছে কমান্ডিং অফিসারের স্ত্রী, পুত্রেরও। খড়গ্রাম থানার কীর্তিপুর গ্রামের শ্যামল দাস আসাম রাইফেলসে কর্মরত ছিলেন। যানা যায়, হামলার সময় কমান্ডিং অফিসার বিপ্লব ত্রিপাঠির গাড়িতেই ছিলেন শ্যামল। শ্যামলদের দেহ ফিরছে গ্রামে। অপেক্ষায় খড়গ্রামের কীর্তীপুর।
শ্যামল দাসের স্ত্রী সুপর্ণা জানান, হামলার দিন বেশ সকালে স্বামীর সাথে শেষ কথা হয়েছিল। পরে ফোন করারও কথা ছিল। আসেন সেই ফোনও। আসবেনা সেই ফোন। শোকে বিহ্বল জওয়ান শ্যামল দাসের স্ত্রী।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া এলাকা জুড়ে। ভালো ছেলে হিসেবে এলাকায় খুবই জনপ্রিয় ছিলেন শ্যামল। ছুটিতে এলে সবার সঙ্গেই মেলামেশা করতেন। শোকস্তব্ধ এলাকার মানুষ খবর পাওয়ার পরই তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান। প্রিয় শ্যামলকে শেষ দেখা দেখতে অধীর অপেক্ষায় পরিবার পরিজন ও গ্রামবাসীরা।