ইমাজিন ডেস্কঃ১৯নভেম্বরঃ পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠল জঙ্গিপুর পৌরসভার বাবুবাজার বিলাতমোড়ে । ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এলাকার জল নিকাশিতে ব্যবহৃত পুকুর ভরাট হচ্ছে কী ভাবে ? প্রশ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। উঠছে সমালোচনার ঝড় । জানা যায়, জঙ্গিপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে এই বড় পুকুরটি। সম্প্রতি রাতের অন্ধকারেই পুকুর ভরাটের কাজ চলছিল। ঠিকাদার এবং জমি মাফিয়াদের এই বে আইনি কাজ নজরে আসে স্থানীয়দের । যে পুকুর ছাড়া এলাকার জলনিকাশি ব্যবস্থার আর কোন বিকল্প পথ নেই সেই পুকুর ভরাট হলে সমস্যায় পড়বেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারাই । ফলে পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পরে যায়। ইতিমধ্যেই পুকুরের বেশিরভাগ অংশ মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। জঙ্গিপুর শহরে এভাবে পুকুর ভরাট নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পুকুর ভরাট নিয়ে সমালোচনায় সরব কংগ্রেস। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গিপুর মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি হাসানুজ্জামান বাপ্পার দাবি, সরকারি মদতে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও জমি মাফিয়েদের অসাধু চক্র তৈরি হয়েছে, যা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিৎ।
ভুমি দপ্তরের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুকুর ভরাট হচ্ছে জঙ্গিপুর শহরে । প্রশ্ন উঠছে, এতদিন কেন কারো নজরে পড়ল না এই ঘটনা ? ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কো অরডিনেটরের স্বামী সঞ্জীব কান্তি মন্ডলের বক্তব্য, পুকুর ভরাট করা বেআইনি কাজ। বি এল আর ও র হস্তক্ষেপে ১৫ দিনের মধ্যে মাটি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। যদিও এখনো মাটি সরানোর কাজ শুরু হয় নি।
পুকুর ভরাট প্রসঙ্গে সমালোচনায় সরব স্থানীয় সিপিআইএম নেতাও। সিপিআইএমের নেতা সোমনাথ সিংহ রায়ের অভিযোগ, একাধিক পুকুর ভরাট হয়েছে জঙ্গীপুর পৌরসভায়।
পুকুর ভরাট প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর পৌরসভার প্রশাসক মোজাহারুল ইসলাম অবশ্য বলছেন, কোন ভাবেই পুকুর ভরাট করতে দেওয়া যাবে না। বিষয়টি নজরে আসতেই পুকুর ভরাট বন্ধ করা হয়েছে। আগামি ১৫ দিনের মধ্যে পুকরের অবস্থা আগের মতো না হলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে কাদের মদতে চলছে পুকুর ভরাট ? উত্তর মেলেনি শাসক দলের নেতাদের কাছে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশ আইন অমান্য করে এভাবে পুকুর ভরাট নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজাও। আগামি দিনে পুকুর ভরাট রোধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেদিকেই তাকিয়ে জঙ্গিপুরবাসী।
জঙ্গিপুরে পুকুর ভরাট কার মদতে ?
Published By: Madhyabanga News |
Published On: