মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ মেয়ে তখন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লুটিয়ে পড়েছে রাস্তায়। জানতেন না। কল্পনাও করেন নি বাবা। নিহত ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর বাবা সন্ধ্যে ৬ টা ৫০ এও মেয়েকে মেসেজ করেছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন, কতো টাকা পাঠাবেন। মেয়ের এই পরিণতি হবে ভাবতেও পারেন নি তিনি।
নিহত ছাত্রীর বাবা স্বাধীন চৌধুরী মালদার একটি স্কুলের শিক্ষক। মালদার ইংরেজবাজারের বাসিন্দা সুতপা বহরমপুর গার্লস কলেজে পড়তেন। পড়াশোনার জন্যই থাকতেন বহরমপুরে সুইমিং পুলের গলিতে ওই মেসে।
সোমবার সন্ধ্যেয় বহরমপুর গোরাবারে ভয়ঙ্কর ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে যুবককে সামসেরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই যুবকের নাম সুশান্ত চৌধুরী। তিনি মালদারই বাসিন্দা। মালদায় ছাত্রীর বাড়ির পাড়াতেই এক আত্মীয়ের কাছে থাকত ওই যুবক।
ছাত্রীর বাবা জানান, ছেলেটিকে চিনতেন তিনি। বলেন, “ মেয়ে জানিয়েছিল ছেলেটি রাস্তাঘাটে ওকে হুমকি দিত, ভয় দেখাতো। আমরা শুনে ইংরেজবাজারের স্থানীয় কাউন্সিলারকে জানাই। আমাদের এটা কল্পনার অতীত । ভাবতেই পারিনি”।