রাহি মিত্রঃ বহরমপুরঃ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে স্কুল । শিক্ষক থেকে পড়ুয়া , অভিভাবক সর্বান্তকরণে চান স্কুল আবার আগের মতো চলুক । নবমের নিচের পড়ুয়ারাও আসুক স্কুলে এটাই আমাদের সকলের একমাত্র চাওয়া এখন। কুর্মিটোলা উচ্চ বিদ্যালয় লালবাগ মুর্শিদাবাদের প্রধান শিক্ষক নরেশ চন্দ্র হালদার জানালেন বেশ উৎসাহিত হয়েই । প্রায় রোজই নবম এর নিচের ছাত্র-ছাত্রী থেকে তাদের অভিভাবকরা স্কুলে এসে খোঁজ নিচ্ছেন কবে থেকে তারাও স্কুলে আসতে পারবে , তাদের স্কুলে আসার কোনো সরকারি নির্দেশিকা কি এলো স্কুলে ? জানালেন প্রধান শিক্ষক নরেশ চন্দ্র হালদার । আরও জানা গেল গত মঙ্গলবার অর্থাৎ দীর্ঘ ২০ মাস পর কোভিড কারণে বন্ধ থাকা স্কুল খোলার প্রথম দিন পড়ুয়াদের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও পরের দু’দিনে তা অনেকটাই বেড়ে গেছে । স্বতঃস্ফূর্তভাবে পড়ুয়া রা স্কুলে আসছে । অবশ্যই কোভিড বিধি মেনে মাস্ক ব্যবহার করেই । স্কুলের সব শিক্ষক থেকে অশিক্ষক কর্মীরা সরকারি নির্দেশিকা একশ ভাগ ফলো করছেন । বলা যেতে পারে তাঁরা আতস কাঁচের তলায় রেখেছেন তাদের নজরদারি , ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা বিধি মান্য করার ক্ষেত্রে।
বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে যেগুলি নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল , স্কুলের প্রেয়ার বা প্রার্থনা হচ্ছে ক্লাসরুমেই । থার্মাল স্ক্রীনিং করা হচ্ছে সকলকেই । স্কুল থেকে প্রয়োজনে মাস্ক দেওয়া হচ্ছে, যদি কেউ ভুল করে মাস্ক নিয়ে না আসে সেসব ক্ষেত্রে । স্কুলের বিভিন্ন পয়েন্টে স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে । সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে ক্লাসরুমে প্রথম বেঞ্চে দুজন , পরের বেঞ্চে একজন , আবার তারপরের বেঞ্চে দুজন । এভাবে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রুটিনে টিফিন টাইম বলে কোন সময় রাখা হয়নি ।
মুর্শিদাবাদের লালবাগের কুর্মিটোলা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণভাবে আশাবাদী যে , বাকি পড়ুয়াদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুলে আসার ছাড়পত্র দেওয়া হোক রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে । এমনটাই জানালেন প্রধান শিক্ষক নরেশ চন্দ্র হালদার ।
পূর্ব বর্ধমানের অমরারগড় হাইস্কুলের গণিতের শিক্ষক সুজিত রায় জানালেন , স্কুল খোলার প্রথম দিন ৫০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী এসেছিল স্কুলে । তারপরের দুদিন এ সেই সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে । সরকারি নিয়মে যথারীতি সকাল সাড়ে নটা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে যাচ্ছে । সর্তকতা ব্যবস্থা নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকারি গাইডলাইন মেনেই ।
বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে নবম দশম শ্রেণীর দু’টি বিভাগ কে একটাই করে দেওয়া হয়েছে । সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখতে হলঘর ও তুলনামূলকভাবে বড় ঘর গুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্লাসরুম হিসেবে । ক্লাস রুমের বাইরে পড়ুয়াদের কোন গল্পগুজব বা একসাথে ঘোরা ফেরা নিষেধ রাখা হয়েছে । শিক্ষক থেকে অশিক্ষক কর্মী বা অন্য কর্মীদের উপস্থিতি পুরোটাই আছে স্কুলে । সকলেই খুব উৎসাহিত একইসাথে সতর্কও । জানালেন অমরারগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক সুজিত রায় ।