শারদোৎসব কাটিয়ে এবার পালা আলোর উৎসবে মেতে ওঠার। আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশীর দিন ধনতেরাস অথবা ধনত্রয়োদশী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দীপাবলি উৎসবের সূচনা হবে। কালী পুজোর আগের দিন পালিত হবে ভূত চতুর্দশী। আর এই ভূত চতুর্দশী ঘিরে রয়েছে বহু আচার, উপাচার। বহু পরিবারেই চোদ্দ প্রদীপ জ্বালিয়ে চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে। কিন্তু কেন সংখ্যায় চোদ্দ? ভেবে দেখেছেন কখনও!
বহু কাল আগে থেকেই এই দিনে চোদ্দ পুরুষের উদ্দেশ্যে প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে। মনে করা হত, এদিনে তাঁদের আত্মা নেমে আসে। সেই বিশ্বাস থেকেই আজও পালিত হয় এই রীতি। এত গেল প্রদীপের কথা তবে কেন এদিন চোদ্দ রকমের শাখ খেতে হয়? চোদ্দ শাখের মধ্যে রাখতে হয় ওল, বেতো, সরষে, পুঁই, শুশনি, নিম, মেথি, হিলঞ্চ, পলতা, শৌলফ, গুলঞ্চ, শুষণী, লাল , লাউ শাক ইত্যাদি। বাজারে বাজারে এখন চোদ্দ শাক অনায়াসেই পাওয়া যায়। কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে-কারণটা কী ?
বাড়ির বড়রা সব সময়েই এই বিষয়ে বলে থাকেন, এটাই নিয়ম, তাই পালন করা হয়। তবে কেন এই নিয়ম! এবার আসা যাক মূল বিষয়ে, সংস্কার, কু সংস্কার এর তর্ক বিতর্ক এড়িয়ে বিজ্ঞান বলছে- চোদ্দ শাক খাওয়ার কারন হল- স্বাস্থ্য ভাল রাখা। এই মরশুমে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়, উত্তরের ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে শুরু করে। তাই শরীরের রোগ সংক্রমণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্যই এই শাক খাওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছিল।