রেলগেটের দুইপাশে কংক্রিটের ঢাউস নির্মাণ। তবে, অসমাপ্ত, বেখাপ্পা। আর তার দুইপাশে, নীচে রাস্তা চলাচলের অযোগ্য । কখনো গর্তে আটকে যাচ্ছে চারচাকা গাড়ি কখনো উল্টেযাচ্ছে টুকটুক ভ্যান। মোটর সাইকেল, স্কুটিতে রাস্তা পার হতেও নাজেহাল অবস্থা শহরের মানুষের। সব মিলিয়ে চুঁয়াপুর রেলগেট পার হওয়া মানে নরক যন্ত্রণা মানুষের। প্রশ্ন উঠছ, আদৌ তৈরি হবে উড়ালপুল।
এই রাস্তা দিয়েই বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন হাজার হাজার মানুষ। এইটুকু রাস্তা পেরোতেই প্রাণ আইঢাই হচ্ছে রোগী, রোগীর আত্মীয়দের।
২০১৩ সালে অনুমোদন পায় এই রেলব্রিজের কাজ । ২০১৪-১৫ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল উড়ালপুলের নির্মাণের কাজের । কিন্তু সরকারি জটিলতায় হঠাৎ থমকে গিয়েছে কাজ। উড়ালপুলের কাজ নিয়ে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপি, বাম প্রত্যেকেই একে অন্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগছে। তবে সাধারণ মানুষের দাবি, সকলে এক হয়ে কাজ করা উচিত যাতে মানুষ এই নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায়।
চলাচলের উপযোগী রাস্তা তৈরি হোক- এই দাবীতে শুক্রবার বহরমপুরে চুঁয়াপুর রেলওয়ে ওভার ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপি। বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র ওরফে কাঞ্চন মৈত্রের নেতৃত্বে এদিন রাস্তা সংস্কারের দাবীতে সুর চড়ান বিজেপি নেতা কর্মীরা। এদিনই অবশ্য রাস্তায় ইট, পাথর ফেলে যাতায়াতের উপযোগী করে তুলতে পিচের রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সারা বছর রাস্তার বেহাল দশায় অভ্যস্থ স্থানীয়রা, বর্ষায় যে দুর্ভোগ যন্ত্রণা বেড়ে যায় বহু গুন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন, বহরমপুরবাসীর জ্বালা যন্ত্রণা মেটাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বহরমপুর পৌরসভার তত্বাবধানে।