চায়ের আড্ডায় শিক্ষকদের হানা ! স্কুলে ফেরাতে পাড়ায় শিক্ষকরা

Published By: Madhyabanga News | Published On:

স্কুল বন্ধ ছিলো দীর্ঘ ২০ মাস | রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনেই গত ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খুলে গেছে | তবে স্কুল খুললেও স্কুলে পড়ুয়াদের হাজিরা একদমই নেই বললেই চলে | পরিস্থিতিতে গভীরে ঢুকতেই উঠে আসলো অবাক করা তথ্য! বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে এতদিন স্কুলে না যাওয়ার স্কুল থেকে মুখ ফেরাচ্ছে পড়ুয়ারা | ভর দুপুরেই চলছে চা এর দোকানে আড্ডা | আবার কেউ এখনো বইই কেনেননি |আবার অনেকে চলে গেছেন বাইরে কাজ করতে | ছাত্রদের স্কুলমুখী করতে ‘পাহাড়পুর ইউনিয়ন হাইস্কুলের’ শিক্ষকরা গেলেন পড়ুয়াদের বাড়ি | শিক্ষকরা হাজির ‘দুয়ারে শিক্ষক’  অবতারে |

স্কুলমুখি নয় পড়ুয়ারা, এবার দুয়ারে শিক্ষক ডোমকলে! পাড়ায় চায়ের দোকানে চলছিল আড্ডা, হঠাৎ সেখানে হাজির স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। ঘটনা বোঝার আগেই শিক্ষকদের দেখে চোখ ছানাবড়া পড়ুয়াদের, তবে ভয়ের কোন কারন নেই আশ্বস্ত করেন শিক্ষকেরা। শনিবার দুপুরে এই ছবি ধরা পড়ল ডোমকলে।

খাঁ-খাঁ করছে ক্লাসরুম। মুর্শিদাবাদের অনেক স্কুলেই এই ছবি দেখা যাচ্ছে। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলমুখী করতে এবার পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন শিক্ষকরাই। শনিবার যেমন ছবি দেখা গেল ডোমকলে। এদিন ডোমকলের পাহাড়পুর ইউনিয়ন হাইস্কুলের শিক্ষকেরা ঘুরলেন ছাত্র ছাত্রীদের দুয়ারে দুয়ারে। রীতিমত হাতে ব্যানার নিয়ে ৪৮ জন শিক্ষক শিক্ষিকা পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কখনও বা পাড়ায় মোড়ে মোড়ে গিয়ে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সাথে কথা বললেন তারা। কেন স্কুলে আসছে না তারও খোঁজ নিলেন তারা। সবাই যাতে স্কুলে আসে তা বোঝাতেই দুয়ারে গেলেন শিক্ষকেরা।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহঃ তাইজুল ইসলাম জানাচ্ছেন, ‘আমরা আজ অভিভাবক দের নিয়ে বসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু অভিভাবকরা আসেননি, ছাত্রছাত্রীর মধ্যেও কোনো সাড়া নেই |তাই ওঁদের স্কুল মুখী করতে আমরাই পথে!”

এদিন পাহাড়পুর, মোক্তারপুর, গোড়াইপুর, চাতরা, মহেশ্বরপুর সহ রসুননগর এলাকায় পৌছান শিক্ষক শিক্ষিকারা। স্কুল খুললেও কেউ স্কুলে গিয়েছে একদিন কেউ আবার স্কুলমুখি হয়নি, তবে শিক্ষকেরা বাড়িতে আশায় আগামী দিনে স্কুলে যেতে চাই তারা জানাল স্কুল পড়ুয়ারা।

পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকে বলছেন, “স্কুলে যেতে ভালো লাগেনা, তাই কাজে লেগে পরেছি, পেট চালাতে হবে ” | আবার কোনো পড়ুয়ার সামনে উচ্চমাধ্যমিক, স্কুলে না যাওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে জানাচ্ছেন “এখনো বই কিনিনি, বই কেনা হলে যাবো ” |

স্কুলে যেতে পড়ুয়াদের অনীহা মেনে নিচ্ছেন অভিভাবকেরাও, তবে শিক্ষকদের বাড়িতে আসতে দেখে আগামী দিনে সন্তানদের স্কুলে যেতে উৎসাহ যোগাবেন বলেই দাবি অভিভাবকদের।

সব মিলিয়ে অভিভাবকরাও দ্বন্দ্বে পড়েছেন | স্কুলগুলির এমন অবস্থা কারণ? কেন ছাত্ররা স্কুলমুখী নয়? সব মিলিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষরা প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষা ব্যবস্থার উপরে | দুয়ারে শিক্ষক অভিযান চালানোর পরেও পড়ুয়ারা কতটা স্কুল মুখী হচ্ছেন, সেদিকেই তাকিয়ে পাহাড়পুর স্কুলের শিক্ষকরা |