প্রিয়ঙ্কা দেব বিশ্বাস : ৪ঠা নভেম্বর – কাশ্মীরের সীমান্তে নিহত সেনা জওয়ান তপন মণ্ডলের কফিনবন্দী দেহ ফিরল শনিবার সকালে। গ্রাম জুড়ে শোক যেন মুহূর্তের মধ্যে গর্বে ভরে উঠলো। চোখে জল আর একবুক দু:খকে পাশে রেখে শহীদ তপনের বাবা শিবনাথ মণ্ডল বলে উঠেন আমার ছেলে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। এ আমার গর্ব,ছেলে আমার ভাল কাজ করেছে তাই তো এত মানুষ এসেছেন। কিন্তু একমাত্র ছেলেই তো আমাদের ভরণপোষণ করতো। আট মাস আগে বিয়ে হয়েছিল। বৌমায়ের এখন কি হবে ? চুড়ান্ত আবেগ আর কঠোর বাস্তবতার টানাপোড়েনে সাটুই এর মণ্ডল পরিবারের এখন দিশেহারা অবস্থা।
বৃহস্পতিবার জম্মু কাশ্মীরের সাম্বা জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর ভারতীয় সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে পাক রেঞ্জার্স। সেই সময় গুলিতে আহত হন বহরমপুরের সাটুই গ্রামের বাসিন্দা তপন। অসংখ্য মানুষের চোখের জলে গার্ড অফ অনারে শহীদকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের বিএসএফ এর ডিআইজি ইউ সি হাজারিকা ,অতিরিক্ত পুলিস সুপার লালাবাগ অংশুমান সাহা , বহরমপুর ব্লকের বিডিও রাখি পাল,, তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেন সহ হাজারে হাজারে মানুষ।
শেষ বারের ছুটিতে বাড়ি এসে বলেছিল খুব তাড়াতাড়ি ফের আসবে। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল, কিন্তু প্রান নেই, ফিরল নিথর দেহ। জাতীয় পতাকায় শরীর ঢাকা। কফিনবন্দি তপন মণ্ডলের দেহ। শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার, গ্রাম। বৃদ্ধ বাবা মা, বোন, নব বিবাহিতা স্ত্রী, সকলেই শেষ বারের মতো চোখের দেখা দেখতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। গ্রাম জুড়ে যেন নিস্তব্ধতা। সসম্মানে শহীদকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির পুলিশ, প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে হাজারে হাজারে মানুষ। দেশের জন্য জীবন বলিদান দিয়েছেন। খারাপ লাগলেও, তা গর্বের। তবুও এভাবেই দেশকে রক্ষার জন্য কাজ করে চলি আমরা, এমনটাই জানালেন বি এস এফের ডি আজি জি ইউ সি হাজারিকা।