মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ বুধবার বিকেলে ফের ভয়ঙ্কর ভাঙন শুরু সামসেরগঞ্জে। চোখ খুললেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য, গ্রামের পর গ্রাম গিলে খাচ্ছে গঙ্গা । চোখ বুঁজলে কানে বাজছে শুধুই হাহাকার । ভয়ংকর ভাঙ্গনে জলে তলিয়ে যাচ্ছে সামসেরগঞ্জে একের পর এক জনপদ। ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের। ভাঙন রোধে কার্যত হাল ছেড়েছে প্রশাসন। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, ভাঙন মোকাবিলায় প্রশাসনের দেখা নেই।
ঘরের কাছে নদী ! কী করবেন ! উপায় না দেখে বাড়ি ভাঙতে শুরু করেছেন অনেকে। বুধবার বিকেল থেকে ফের সামসেরগঞ্জে শুরু হয়েছে ভয়ঙ্কর গঙ্গা ভাঙন। বোগদাদনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতঘরিয়া, শিকদারপুর, প্রতাপগঞ্জ গ্রামে শুরু হয়েছে ভাঙন। একের পর এক চাষের জমি নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। বাড়ি ভেঙে ফেলা শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। এদিন ভাঙনে নদীর গর্ভে তলিয়ে যায় কয়েক বিঘে কৃষি জমি। তলিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু গাছও। ভাঙনের জেরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বুধবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে ভাঙন।
![](http://madhyabanga.news/wp-content/uploads/2022/11/samserganj.jpg)
আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সাতঘরিয়া গ্রামের মানুষ। গ্রামের মানুষের দাবি, বালির বস্তা ফেলে ভাঙন মোকাবিলা করা যাচ্ছে না। অভিযোগ, সাতঘরিয়ায় ফেলা হয় নি বালির বস্তাও। সামসেরগঞ্জে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর ধর্মস্থান। গ্রামবাসীরা জানান, যে কোন মুহুর্তে বাড়ি, দোকান তলিয়ে যেতে পারে।
প্রতাপগঞ্জের বাসিন্দ রিন্টু সেখ বলেন, “ আমরা আবেদন জানাচ্ছি, স্থায়ী নদী বাঁধ দেওয়া হোক। নাহলে সাতঘরিয়ার হাজার হাজার বাড়ি নদীতে তলিয়ে যাবে। কাঁকুরিয়া বাজারও থাকবে না । রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার যৌথভাবে মিলে পাথরের বাঁধ দিক। নাহলে বাড়িঘর আর থাকবে না ”।
সাতঘরিয়ার বাসিন্দা ওয়াসিকুর সেখ বলেন, বোগদাদনগরের এই বছর ভাঙন শুরু হয়েছে। নেতামন্ত্রীরা কেউ কিছু করছে না। আমরা কংক্রিটের বাঁধ চাইছি। রাত্রে ঘুমোতে পারছি না।
জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ জানাচ্ছেন গ্রামের মানুষ।এর আগে ভাঙ্গনে তলিয়ে গিয়েছে সামসেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ-মহেশটোলা এলাকার একমাত্র উপাসনালয় ঐতিহ্যবাহী কালী মন্দির। এই বছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফের গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ। বোগদাদনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রতাপগঞ্জ গ্রামে গঙ্গা ভাঙ্গন শুরু হয়। পরে নদী ভাঙন শুর হয় বোগদাদনগর গ্রাম পঞ্চায়েতেও। ভাঙ্গনে কার্যত দিশেহারা সামসেরগঞ্জের মানুষ।