গল্প হলেও সত্যি! ৭৩ বছর বয়সে ৬ হাজার কিলোমিটার হেঁটে ভারত ভ্রমণ

Published By: Madhyabanga News | Published On:

একটা সংখ্যা মাত্র। অদম্য সংকল্পে বয়সের বাধাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যায়। না হলে ৭৩ বছর বয়সে ভারতের মতো এই বিশাল দেশ হেঁটে ভ্রমণ করা যায়? হ্যাঁ। পদব্রজে প্রবীণের এই দেশ ভ্রমণের কাহিনী গল্প হলেও সত্যি ঘটনা। পাঞ্জাবের এক প্রবীণ এই অসাধ্য সাধন করেছেন। ইতিমধ্যে ৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছেন তিনি। নদী, নালা, খাল, বিল, পাহাড়, সমুদ্র ছুঁইয়ে তিনি পৌঁছেছেন পশ্চিমবঙ্গে। পথে হয়েছেন অচেনা অতিথি। দয়া হলে জুটেছে অতিথি সেবা। কোথাও আশ্রয় চেয়ে মিলেছে তিরস্কারও।বহু অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। এখান থেকে বম্বে রোড ধরে তিনি যাবেন নাগপুর। সেখান থেকে কর্ণাটক হয়ে মহারাষ্ট্রে তাঁর যাত্রা শেষ হবে।প্রায় ২২০ দিন পায়ে হেঁটে বিভিন্ন রাজ্য হয়ে গত শুক্রবার তিনি এসেছেন মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে । ওমরপুর এলাকায় এক পাঞ্জাবি হোটেলে গত দুদিন ধরে আছেন । তাঁর এই ঘটনা চাউর হতেই এলাকায় তাঁকে দেখার জন্যা ভিড় জমছে। অনেকে তো নিজের চোখে না দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। পাঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা ধর্মেন্দর সিং সম্প্রীতি সহ বিভিন্ন মহান ঊদ্দেশ্যে এই যাত্রা শুরু করেছেন বলে দাবি করেছেন। চলতি বছরের ৩১শে জানুয়ারি পাঞ্জাবের স্বর্ন মন্দির থেকে সর্বধর্ম যাত্রা শুরু করেন ধর্মেন্দর সিং।
তিনি জানিয়েছেন, এই দীর্ঘ হাঁটা পথে তিনি বহু জায়গা পরিদর্শন করেছেন। বহু মানুষের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছে। তাঁর যাত্রার অন্যতম কারণ জেলবন্দি শিখ যুবকদের মুক্তির দাবি। সারা দেশের অনেকটা অংশ ঘোরার পর ধর্মেন্দর সিং বলেন, দেশবাসী ভালো থাকুক। মহান শক্তি হোক আমাদের দেশ। এটাই চাই।দুদিন ওমরপুরে কাটানোর পর সোমবার ওমরপুর থেকে ফের পায়ে হেঁটে অসমের উদ্যেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। এখনও প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার যাত্রা পথ বাকি। রঘুনাথগঞ্জের হোটেল কর্মী জসবিন্দর সিং তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে। এর আগেও বিভিন্ন দাবি নিয়ে পায়ে হেঁটে একাধিক যাত্রা করেছেন পাঞ্জাবের বাসিন্দা এই বৃদ্ধ। এমনই দাবি করেছেন তিনি।