গরীবের বাড়ি কি অবস্থায় কান দিয়ে নয় চোখ দিয়ে একদিনে দেখলেন ডিএম, এডিএম,এসডিও, বিডিওরা

Published By: Madhyabanga News | Published On:

রিয়া সেন :  বহরমপুর ২৮ শে অক্টোবর – আরজুমা বেওয়া, সাবিনা বিবি,জানুফা বেওয়া বা বলরাম দাস দের যেন ঘোর কাটতেই চায় না দিন ভোর। এর আগে বার বার মাথা খুঁটেছেন বাড়ি তৈরীর দ্বিতীয় কিস্তির টাকার জন্য। কেউ কথা শোনেনি ।বাড়ির একবার টাকা পেয়ে কাজ শুরু করে মাঝপথে কাজ বন্ধ কারও বছর ঘুরেছে কারও বা পেড়িয়েছে দু বছর। গ্রীষ্ম,বর্ষা শীত কার্যত এরা খোলা আকাশের নিচেই বাস করতে বাধ্য হয় পরিবার পরিজন নিয়ে। কিন্তু শনিবার সকালে বাড়ির সামনে সাদা বড় গাড়ি থেকে একে একে বড় অফিসার রা নেমে এসে  অসমাপ্ত বাড়ির দাওয়ায় হাজির । সরাসরি জিজ্ঞেস করছেন কেন হয়নি বাড়ি। কোথায় সমস্যা ? সাথে সাথে সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ। যদি সরকারী কর্মী কারও কর্তব্যে গাফিলতি থাকে তিনিও ছাড় পাচ্ছেন না। তৎক্ষণাৎ শোকজের মুখে পড়তে হচ্ছে। গরীব মানুষ আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন এবার শীতে হয়তো মাথার উপর ছাদটা হবে। দরজা জানলা বসবে। শীতের কনকটে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে পারবেন।

    শনিবার জেলার সব গ্রাম পঞ্চায়েতে গরীব মানুষের ঘর তৈরীর হাল হকিকত সরজমিনে খতিয়ে দেখতে  গরীব মানুষের দোরে দোরে ঘুরলেন খোদ জেলা শাসক,অতিরিক্ত জেলা শাসক,মহকুমা শাসক,বিডিও থেকে সরকারী আধিকারিকরা। দুমাস আগেও   গরীব মানুষের ঘর তৈরীতে রাজ্যের নিরিখে মুর্শিদাবাদ ১৭ তম স্থানে ছিল । মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ড পি উলাগানাথনের নেতৃত্বে জেলা জুড়ে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। ফলও মেলে হাতে নাতে। বাংলা আবাস তৈরীতে এক লাফে সতেরো থেকে পাঁচ এ পৌঁছে যায় মুর্শিদাবাদের অবস্থান। এখানেই থেমে থাকতে রাজী নয় মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন । আর সেজন্য শনিবার সাত সকালে মাঠে নেমে আর এক প্রস্থ গা ঘামালেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। জেলা শাসক, জেলা পরিষদের সচীব, বহরমপুর সদর মহকুমা শাসককে সাথে নিয়ে শক্তিপুরের বিভিন্ন এলাকায় গরীব মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে কেন মাঝপথে  বাড়ি তৈরী থমকে রয়েছে তা নিয়ে কথা বলেন। সমস্যাগুলি বুঝে নিলেন। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। অতিরিক্ত জেলা শাসক জেলা পরিষদ এনাউর রহমান কান্দী ব্লকের বিডিওকে নিয়ে জীবন্তি মহোলন্দী,গোকর্ণের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে মানুষের সাথে সরাসরি কথা বলে জেনে নেন কোথায় রয়েছে সমস্যা। কর্ত্যব্যে গাফিলতির জন্য নির্মাণ সহায়ক কে শোকজও করেন । এদিন পিছিয়ে ছিলো না হরিহরপাড়ারও । সকালেই বিডিও পূর্ণেণ্দু সান্যাল  নশিপুর গ্রামে জানুফা বেওয়ার বাড়িতে যান । ঘুরে দেখেন কাজ । সদর শহর বহরমপুর থেকে দূরতম ব্লক ফরাক্কার ব্লকের বিডিও কৃষাণ ডি ভুটিয়ার নেতৃত্বে  প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে  আধিকারিকেরা গিয়েছিলেন মানুষের কাছে তাদের বাংলা আবাস যোজনার বাড়ির হাল হকিকতের খোঁজ খবর নিতে।