মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ রাস্তায় চাঁদিফাটা রোদ। তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে চল্লিশ ডিগ্রি। বইছে লু। এর মধ্যেই উনুনের পাশে হাসিমুখে লাচ্ছা সেমাই বানাচ্ছেন সালারের আলি হোসেন । “ প্রায় ১৭-১৮ বছর ধরে লাচ্ছা বানাচ্ছি। আসলে আনন্দের কাজ। ঈদে মানুষ লাচ্ছা খেতে পছন্দ করেন। আমরা খাওয়াতে। সেই ভাবেই কাজ করার আনন্দ পাই”, কড়াইয়ে লাচ্ছা ভাজতে ভাজতেই বললেন আলি হোসেন। সালারের বাসিন্দা আলি হোসেন সহকর্মীদের নিয়ে এসেছেন বহরমপুর লাগোয়া উত্তরপাড়া মোড়ে। রাস্তার পাশে অস্থায়ী কারখানা বানিয়ে চলছে লাচ্ছা, সেমাই তৈরির কাজ।
“ আগুনের পাশে কাজ তো ! গরম লাগবেই। একটু রেস্ট নিই। আবার কাজ করি”, জানাচ্ছেন লাচ্ছার কারিগর ঈদ মহম্মদ সেখ ।মাস পরলেই ঈদ-উল-ফিতর । বাঙালির ঈদ মানেই লাচ্ছা, সেমাই । তাই ব্যস্তাতা তুঙ্গে লাচ্ছা সেমাইয়ের কারিগরদের।
আলি হোসেনের সহযোগী ঈদ মহম্মদ সেখ জানান, তাদের তৈরি লাচ্ছা যায় বীরভূম, মালদাতেও। সারাদিনে দশ বস্তা লাচ্ছা বানানো হয়। সাথে কাজ করেন প্রায় দশজন। লাচ্ছার কাজ শেষ হলেই চাষের কাজে, রাজমিস্ত্রির কাজে ফিরে যাবেন কারিগররা।