নবাবদের বাসভূমি মুর্শিদাবাদ। এই মুর্শিদাবাদেই আছে সুবে বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার সমাধিক্ষেত্র। খোশবাগ সমাধিক্ষেত্র হলেও যেন একটি বাগান। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র। খোশবাগের উঁচু প্রাচীর ঘেরা সমাধিক্ষেত্রটি আলীবর্দী খাঁ তাঁর মায়ের কবর দেওয়ার উদ্দেশ্যে নির্মাণ করান ১৭৪০ এ। এক কালে এই খোশবাগের গা ঘেঁষে বয়েযেত ভাগিরথী নদী। এখন নদী অনেকটাই সরে গিয়েছে। সমাধিক্ষত্র জুড়ে ছিল অনেক গাছ। বড় বড় ছায়াঘন গাছে ফুলবাগান সর্বদা মনোরম হয়ে থাকত বলেই সমাধিক্ষেত্রটির নাম খুশবাগ বা খোশবাগ।
এই সমাধিক্ষেত্রেই আছে আলীবর্দী, সিরাজ, লুৎফুন্নেস, শরফুন্নিসা, মীর্জা মেহদির এবং সম্ভবত উমদুতেন্নিসার সমাধি। বাকিদুটি সমাধি ঘসেটি ও আমিনার বলে জানানো হয়। তবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
খোশবাগেরই এক অংশকে লুৎফুন্নেসার বাসগৃহের স্থান বলে দেখানো হয়। সিজারের মৃত্যুত পর দীর্ঘসময় লুৎফুন্নেসা সমাধির পরিযর্যা করতেন। পাটনায় হাজী আহমদের কবরের দেখাশনার দায়িত্বও তাঁকে দেওয়া হয়। এজন্য তিনি মাসিক বৃত্তি ১০০ টাকা ছাড়াও আরও ৩০৫ টাকা পেতেন। লুৎফুন্নিসার মৃত্যুর পর কন্যা ওমদৎউন্নিসার বংশধরেরা খোশবাগের দেখাশোনা করতেন, পরে ইংরেজ সরকার নিজেই দায়িত্ব নেয় এই সমাধিক্ষেত্রের দেখাশোনার। বর্তমানে এই সমাধিক্ষেত্র ASI এর অধীন।
এখনও খোশবাগের মনোরম পরিবেশ পর্যটকদের নিয়ে যায় ইতিহাসের দুনিয়ায়।