অনেকদিন পর করোনা বিধি মেনে আবার স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি খুলে গিয়েছে । আমি ভীষণ আনন্দিত আবার সেই পুরোনো ছন্দে ফিরতে পেরে। সেই আগের মতো একটা ব্যস্ত দিন ভীষণ ভালো লাগলো। মাঝখানের এই অনেকগুলো দিনে আগের ব্যস্ততা কোথায় যেন হারিয়ে গেছিল। সবকিছুই ছিল ফোনের ভেতরে বন্দি।
ক্লাসরুমে বসে ক্লাস করার মতো আনন্দ অনলাইনে একেবারেই নেই। মুখোমুখি থাকলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে ছাত্রছাত্রীদের যে একটা বন্ধন তৈরী হয় সেটা আমার মনে হয় অনলাইনে খুব একটা সম্ভব হয় না। তাছাড়াও বাচ্চাদের ওপর ফোনের ভীষণ প্রভাব পড়ে, বেশিরভাগ বাচ্চারাই ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে।
অবশ্য এতে তাদেরও দোষ দেওয়া যায় না কারণ স্কুল থাকলে বন্ধুদের সাথে কথা বলা, খেলাধুলা করা, পড়াশোনা করার মধ্যে দিয়ে তাদের সময়টা খুব সুন্দরভাবে কাটে। কিন্তু যখনই সবকিছু হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় অগত্যা সময় কাটানোর অবলম্বন হিসাবে তারা ফোনটাকেই বেছে নেয়। শুধু তাই নয় তাদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও একটা ক্ষতি হয়ে যায়।
যারা কলেজে পড়ে তাদের অনেকেরই সমস্যা হয়েছে অনলাইনে ক্লাস করতে। আসলে ক্লাসের স্বাদটা ক্লাসরুম ছাড়া বোধহয় আর কোথাও পাওয়া যায় না। কিন্তু কিছুই করার ছিল না যেভাবে মহামারী ছড়িয়ে পড়েছিল সবার সুরক্ষার জন্য স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
তবে আমরা আবার কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছি। আবার নতুন করে সবকিছু শুরু হচ্ছে এটাতে ভীষণ ভালো লাগছে। তবে আমাদের প্রত্যেককে অত্যন্ত সচেতন হতে হবে, সমস্তরকম বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না করোনা এখনও পুরোপুরি ভাবে নির্মূল হয়নি।
(অনন্যা দাঁ বারাসাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোর্থ সেমিস্টারের ছাত্রী)