ক্ষুদিরাম চেয়েছিলেন বন্দুক

Published By: Madhyabanga News | Published On:

ক্ষুদিরাম চেয়েছিলেন বন্দুক। কিশোর ক্ষুদিরামের বয়স তখন মোটে  তের কি চৌদ্দ। একদিন মেদিনীপুরের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো। পথ আটকালেন কিশোর ক্ষুদিরাম। বলছেন ,দিতে হবে রিভলভার।  তখনও  হেমচন্দ্র কানুনগো ভালো করে  চেনেন না  কিশোরকে।  প্রশ্ন করেছিলেন  করলেন, “তুই রিভলবার দিয়ে কী করবি?”।  ক্ষুদিরামের সোজা উত্তর,  “সাহেব মারবো।” এরপর বিপ্লবীকেই বোঝালেন সাহেব মারার কারণ। সেদিন ক্ষুদিরামকে বাড়ি পাঠিয়েদিলেও বুঝেছিলেন আগুন আছে এই কিশোরের বুকে।

 

এরপর তিনি ইংরেজদের অত্যাচার-নির্যাতনের কাহিনী বলে কেন সাহেব মারবেন সেসব যুক্তি দিতে শুরু করলেন। হেমচন্দ্র সেদিন তাকে ধমক দিয়ে বাড়ি  পাঠিয়ে দিলেও তার প্রেরণা দেখে অবাক  হয়েছিলেন।

পরেই এই ক্ষুদিরাম বসুই হয়ে উঠলেন দেশীয় বিপ্লবীদের অনুপ্রেরণা।

১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ইউরোপিয়ান ক্লাবের গেটে কিংসফোর্ডের গাড়ির জন্য  অপেক্ষায় ছিলেন দুই বিপ্লবী  ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকী। গাড়ি ক্লাবের গেটে পৌঁছলেই , একহাতে বন্দুক তুলে তা থামান ক্ষুদিরাম বসু । আরেক হাতে বোমা নিয়ে গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়েন। সেই  বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু, তাঁদের মধ্যে কিংসফোর্ড ছিলেন না। পরে ১৯০৮ সালের ১১ অগাস্ট ফাঁসি দেওয়া ক্ষুদিরাম বসুকে।  তরুণ বিপ্লবীর মৃত্যুতে ফের জ্বলে ওঠে দেশ।