কোভিড-১৯এর বিরুদ্ধে ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে টিকাকরণ অভিযানের সূচনা হয়। ইতিমধ্যে ৭২ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা টিকা পেয়েছেন তাঁদের প্রামান্য নথি হিসেবে কো-উইন একটি ডিজিটাল শংসাপত্র দিয়ে থাকে। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ ইত্যাদির মতো ডিজিটাল যন্ত্রে অথবা ডিজি লকারে এই শংসাপত্র রেখে দেওয়া যায়।
প্রয়োজন হলে এখান থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেটি নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠানো সম্ভব। একইভাবে বিভিন্ন শপিং মল, অফিস, নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে গেলে যখন টিকাকরণ সংক্রান্ত শংসাপত্রের প্রয়োজন হয় তখন সেটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেখানো সম্ভব। তবে অনেক সময় পুরো শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট দেখানোর প্রয়োজন হয়না। নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি টিকার দুটো ডোজই নিয়েছেন নাকি একটা ডোজ অথবা কোনো ডোজই নেননি এ ধরণের আংশিক তথ্য হলেই চলে। যেমন :
১. কোনো সংস্থা জানতে চাইতে পারে তার কর্মী টিকা নিয়েছেন কিনা। তার ওপর ভিত্তি করে ওই কর্মীর কর্মক্ষেত্রে কাজ শুরু করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
২. কোনো যাত্রী যখন ট্রেনে টিকিট সংরক্ষণ করবেন তখন রেল জানতে চাইতে পারে ওই ব্যক্তি টিকা নিয়েছেন কি না।
৩. বিমানে টিকিট কাটার সময় এবং বিমান সংস্থা এবং বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো যাত্রীর টিকাকরণের বিষয়ে তথ্য জানতে চাইতে পারে।
৪. হোটেলগুলিতে ঢোকার সময় বা অনলাইনে বুকিং-এর সময় গ্রাহকের টিকা নেওয়া আছে কিনা এ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়।
দেশজুড়ে আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে শুরু হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের সুরক্ষার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে টিকাকরণ সংক্রান্ত তথ্য জানানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চাহিদা দেখা দিয়েছে। তাই আধারের মতো কো-উইনের মাধ্যমে টিকাকরণের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই কারণে কোউইন একটি নতুন এপিআই তৈরি করেছে। ‘নো ইয়োর কাস্টমার/ক্লায়েন্ট ভ্যাকসিনেশন স্ট্যাটাস’ বা কেওয়াইসি- ভিএস এপিআই-এর সাহায্যে যেকেউ তার মোবাইল নম্বর এবং নাম জমা দিলে একটি ওটিপি পাবেন। এরপর কোউইন তার কাছে জানতে চাইবে ওই ব্যক্তির টিকাকরণের স্ট্যাটাস কি।
যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি টিকা না নিয়ে থাকেন তাহলে ০, যদি টিকার একটি ডোজ নিয়ে থাকেন তাহলে 1 অথবা যদি দুটি ডোজই নেওয়া থাকে তাহলে 2 লিখতে হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ডিজিটাল পদ্ধতিতে সই করে যেখানে এই তথ্যটি পাঠানো প্রয়োজন সেখানে পাঠাবেন। এর ফলে ট্রেনের টিকিট বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজে জানা সম্ভব হবে যে ওই ব্যক্তি টিকা আদৌ নিয়েছেন কিনা অথবা টিকার দুটো ডোজই নিয়েছেন কি না।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেওয়াইসি-ভিএস সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুমতিক্রমে এবং তার ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষা করে এই তথ্য পাঠাবে। কোউইন সংস্থা এরজন্য একটি ওয়েবপেজ তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে কোনো ব্যক্তির টিকাকরণের সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।