চাই একটা চাকরি। পড়াশোনা করে ঘরে বসে থাকতে চাননা কেউ। যে কোন চাকরি হলেই চলবে। চাকরির আকালে ধুন্ধুমার কান্ড বহরমপুর স্টেডিয়ামে । ভিড় ঠেলাতে লাঠি চালাতে বাধ্য হল পুলিশও।বহরমপুরে শিক্ষিত বেকারদের ভিড়ে চরম বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হল বহরমপুর স্টেডিয়ামে।
ভগবানগোলার দিলওয়ার হক কেমিস্ট্রিতে এমএসসি করেছেন, ঐ ব্লকেরই সাদ্দাম হোসেন ডিএলএড পাশ করেছেন । দুজনেই এলেন বহরমপুরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আয়োজিত কনসট্রাকশান স্কিলড ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে ট্রেনিং নেওয়ার ফর্ম জমা দিতে। আশা, ট্রেনি চাকরির।
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষিত বেকাররা এদিন আবেদনপত্র জমা দিতে আসেন। মূলত বাড়ি নির্মাণের কাজে ও রং করার কাজের জন্য ট্রেনিং দেওয়া হবে । সফল ট্রেনিং প্রাপ্তদের চাকরির ব্যবস্থা করবে এল অ্যান্ড টি সংস্থা । যদিও উদ্যোক্তারা ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে অষ্টম শ্রেণী পাশ যুবকদের কাছেই আবেদন চেয়েছিলেন।
সেখানে হাজার হাজার আবেদনকারীর মধ্যে অনেকেই ছিলেন উচ্চশিক্ষিত। আর তার জন্যই হাজারে হাজারে শিক্ষিত যুবক জমা হয়েছিলেন বহরমপুর স্টেডিয়াম চত্বরে। কেউ কেউ গতকাল রাত থেকেও লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন আবেদন পত্র জমা দেওয়ার জন্য।
আবেদন দিতে আসা প্রত্যেকের চোখে মুখে ছিল হতাশার ছাপ । সকলেই বলছেন, কর্মসংস্থান নেই জেলায় । সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি দেখে নির্দিষ্ট কী কাজ না জেনেও আবেদন জমা দিতে এসেছেন শুধুমাত্র একটি কাজ পাওয়ার আশায়। কাজের আশায় এসে এই অব্যবস্থার মধ্যে পড়তে হবে ধারণা ছিলনা অনেকের।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে আইনজীবি আবু বক্কর সিদ্দিকি জানান, প্রায় পঞ্চাশ হাজার যুবক এদিন আবেদন পত্র জমা দিতে এসেছেন। সকলের আবেদন পত্র গ্রহণ করা হবে। কাগজ পত্র দেখে ইন্টারভিউ’এর জন্য ডাকবে ওই সংস্থা।
এল অ্যান্ড টি কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা গিয়েছে, তাদের শ্রীরামপুর ডিভিশনে প্রতি ৪৫ দিন অন্তর ৩০০ জন যুবকে ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে উদ্যোক্তারা।