স্পেশ্যাল রিপোর্ট:৫ নভেম্বরঃ এই খরিফ মরশুমে লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে কৃষকদের থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদে। নানা ফাক ফোঁকরে প্রতি বছরই ধান বিক্রিতে ফড়েরাজের যে অভিযোগ ওঠে, তার পরিপ্রেক্ষিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তৎপর প্রশাসন। চলতি মরশুমে মুর্শিদাবাদে সবে মাঠ থেকে ধান উঠতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করল জেলা খাদ্য দপ্তর। ২ রা নভেম্বর থেকে জেলার ২৫ টি কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে শুরু হয়েছে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা। তবে শুধুমাত্র জেলার ২৫ টি কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্র থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা নয় গ্রামে গ্রামেও হবে শিবির। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এবছর কি জেলার সব প্রান্তিক কৃষক সহায়ক মুল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন? ইতিমধ্যেই ধান কেনায় গতি আনতে জেলা প্রশাসনের তরফে বৈঠকও হয়েছে। জেলা খাদ্য দপ্তর সুত্রে জানা যায়, গত মরশুমে সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিকটন ধান কেনার লক্ষমাত্রা দিয়েছিল রাজ্য খাদ্য দপ্তর। সেবার জেলায় ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছিল। এবছর লক্ষমাত্রা বাড়িয়ে ৩ লক্ষ ৯০ মেট্রিকটন করা হয়েছে। জেলা খাদ্য দপ্তর আশাবাদি, গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়েছে, এবছরও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
বহরমপুরে কৃষক বাজারে আগামি সোমবার অর্থাৎ ৯ ই নভেম্বর থেকে সহায়ক মুল্যে ধান কেনা শুরু হবে। শুরু হয়েছে নাম নথিভুক্তিকরণ।
এবছর একজন কৃষক ৯০ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারবেন। এক কুইন্টাল ধানের দাম ১৮৬৮ টাকা ধার্য করা হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান নিয়ে এলে কুইন্টাল পিছু ২০ টাকা অতিরিক্ত উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে। সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ধান কেনা হচ্ছে। গত বছর ধান কেনার পর কৃষকদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু এবছর সেই প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতে সরাসরি কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিন দিনের মধ্যে কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে সেই টাকা চলে যাচ্ছে। অন্নদাত্রী অ্যাপের মাধ্যমেও নাম নথিভুক্ত করার দরখাস্ত করা যাবে।
তবে কৃষকরা সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারেন কিনা, সেই দিকেই তাকিয়ে সবাই।