সুব্রত প্রামাণিকঃ সীমান্ত এলাকায় কাশ্মিরী আপেল কুলের চাষ বাড়ছে মুর্শিদাবাদে । সীমান্তবর্তী সাগরপাড়ার চকরামপ্রসাদ গ্রামের একাধিক চাষি কাশ্মিরী আপেল কুল, সহ বিভিন্ন ধরনের কুলের চাষ করছেন। এই গ্রামের বাসিন্দা আলেয়া বিবি এই চাষে সফল হওয়ার চেষ্টা করছেন এবং স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
আলেয়া জানাচ্ছেন, আপেল কুল সহ অন্যান্য কুল বাজারে চাহিদা ভালোই রয়েছে। গোলাপি রঙের এই আপেল কুলকে অনেকে সুন্দরী কুল বলেও ডাকেন। আপেল কুল খুব সুস্বাদু। মূলত মহারাষ্ট্র, বিহার, ত্রিপুরায় আপেল কুলের ভালোই চাষ হয়।
এমনই আপেল কুলের চাষ করেছেন সাগরপাড়ার চকরামপ্রসাদ গ্রামের ভাসান বিশ্বাস। তার চার বিধা জমিতে প্রায় ২ বছরে ধরে এই কুলের চাষ করছেন তিনি। গাছ লাগানোর এক বছরের মধ্যেই এই গাছে কূল ধরে, বাজারে বেশ চাহিলা রয়েছে এই কুলের। পৌষ মাস থেকে এই ফল উঠতে শুরু করে চৈত্র মাস পর্যন্ত এই ফল পাওয়া যায় একই গাছ থেকে। ২৫ টাকা কেজি বাজারে বিক্রি হয় কূল।
ফলে অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেকটায় লাভজনক এই কূল চাষ। তবে এই চাষে সেচের পাশাপাশি সারও লাগে বেশি পরিমানে। আগে একজন কৃষকই এলাকায় এই চাষ শুরু করলেও এখনও অনেকেই এই কূলচাষে আগ্রহী হচ্ছেন ।
অন্যান্য ফলসের চেয়ে অনেকটায় লাভজনক এই কুলের চাষ, ভাসান বিশ্বাস আপেল কুল, ভারত সুন্দরী, বল সুন্দরী, বাউকুল এই চার ধরনের কুলের চাষ করছেন। বছর শেষে লাভও হচ্ছে ভালোই। তাই এই লাভজনক কুলচাষ করুক অন্যান্য চাষিরাও চাইছেন ভাসান বিশ্বাস।
আগামী দিনে এই কুল চাষে কৃষকরা কতটা আগ্রহী হয় সেটাই দেখার।