কালা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ডিআইকে ডেপুটেশন এবিটিএ-এর

Published By: Madhyabanga News | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে মুচলেকা দিতে হবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের। ২৫শে ডিসেম্বর এই আইন জারি করেছে শিক্ষা পর্ষদ। এই আইনের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি। সারা রাজ্যের পাশাপাশি শুক্রবারে বহরমপুরেও এই আইন বাতিলের দাবিতে জেলা শিক্ষা ভবনে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে ডেপুটেশন দিল নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির জেলা কমিটির সদস্যরা।

নবম শ্রেণিতে ওঠার পরই মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য পর্ষদের কাছে নাম নথিভুক্তকরণ বা রেজিস্ট্রেশন করতে হয় পড়ুয়াদের। এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট স্কুলের। বিগত বছরে দেখা গেছে নবম শ্রেণির পর দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও দেখা গিয়েছে কারও কারও রেজিস্ট্রেশন হয়নি। ২০২৫ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য এখনও রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেনি বহু পড়ুয়া। স্কুলের কত সংখ্যক পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন বাকি আর কত সংখ্যক সম্পূর্ণ হয়ে গেছে তা নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে এ বার লিখে দিতে হবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের। এই সার্কুলার জারি করেছে শিক্ষা পর্ষদ। আর এই আইনের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শিক্ষক সমাজ।

এদিন জেলা শিক্ষা ভবনে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে এই কালা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ডেপুটেশন দিল নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির জেলা কমিটির সদস্যরা। দেবকুন্ড সেখ এআরএম গার্লস হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষিকা মুর্শিদা খাতুন জানান, “মুর্শিদাবাদ জেলায় স্কুল ড্রপ আউটের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। জেলার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ না করেই বাল্য বিবাহের চক্করে পরে কিংবা পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে যুক্ত হয়। এই নিয়মের ফলে সব দায় এসে পড়বে প্রধান শিক্ষকের উপরে। তাই এই আইন অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা ডেপুটেশন দিলাম। ডিআই জানিয়েছেন তিনি বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখবেন।”