রবীন্দ্রনাথ কৈবর্ত্ত্য- কান্দী ২৪ শে অক্টোবর – টানা তিন দিনের অকাল বর্ষণে ব্যাপক ক্ষতি মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমায়। শস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত এই মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার জমির ধান জলের তলায়। ক্ষতিপূরণ হবে কিভাবে, কপালে চিন্তার ভাঁজ ধান চাষিদের। মরশুম জুড়ে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধান চাষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে, তার উপর আবার অকাল বর্ষণে ধানের গাছ একেবারে নুইয়ে পড়েছে জমিতে। ঠিক যেন পাকা ধানে মই দিল অকাল বর্ষণ। আর তার জেরে মাথায় হাত ধান চাষিদের। মুর্শিদাবাদের শস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত কান্দি মহকুমা। কয়েক শো বিঘা জমিতে ধানের চারা লাগিয়েছিলেন এই মহকুমার বহু চাষি। ধার দেনা করে ফসল ফলিয়ে অর্থ উপার্জনের আশা ছিল তাদের। কিন্তু এবছর বৃষ্টির কারনে ধান চাষিদের মাথায় হাত। নিম্নচাপের জেরে দু দিনের বৃষ্টিতে বিপুল পরিমান ক্ষতির ফলে সরকারের কাছে ক্ষতি পূরণের আর্জি তাদের। টানা তিন দিন ধরে নিম্ন চাপের বৃষ্টিতে জল জমেছে ধানের জমিতে। আমন ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় চাষিরা। এই সময়ে বেশির ভাগ জমির ধান পাকতে শুরু করে, কিন্তু বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় জমিতে নুইয়ে পড়েছে ধান গাছ। সরকারী সাহায্য না পেলে অনাহারে জীবন কাটাতে হবে বলেই মনে করছেন চাষিরা। ধান চাষ করে সেই ধান বাজারে বিক্রি করে পরবর্তীতে জমিতে আলু ও অন্যান্য সব্জি চাষ করে থাকেন। কিন্তু অর্ধেক এর বেশি ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আর্থিক অনটনের মুখোমুখি হওয়ার আশংকায় তারা। কান্দি, বড়য়া এবং ভরতপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষ। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাস জানান কৃষকদের এই ক্ষতি জেলা কৃষি দফতরে জানানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণের জন্য চাষিদের সবরকম ভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।