নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বর্ষায় কাদা মাটি, জলে একাকার অবস্থা। হাঁটতে গিয়ে কাদা মাটিতে পা পিছলে পরে যাওয়ার উপক্রম। যান চলাচল তো দুঃস্বপ্ন। হাটাচলার রাস্তার এমন দুর্দশায় ভোগান্তির শেষ নেই ডোমকল পৌরসভার অন্তর্গত ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আমিনাবাদ বিলপাড়া এলাকায়। স্থানীয় মানুষজন একপ্রকার অতিষ্ঠ। রাস্তা দুর্ভোগ যন্ত্রণা নিয়েই কাটছে দিন। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা, যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশেই কাদা মাটিতে ভরা রাস্তায় ধানের চারা পুঁতে রেখেছেন স্থানীয়রা। প্রায় হাজার খানেক পরিবারের বাস আমিনাবাদ বিলপাড়ায়। পৌর এলাকার রাস্তার এমন বেহাল অবস্থায় একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন স্থানীয়রাই।
অনেকেই বলছেন, পৌর এলাকার বাসিন্দা হয়েও দুর্ভোগ যন্ত্রণার শেষ নেই। বছরের পর বছর ধরে কাঁচা রাস্তা পাকা হয় না। নিকাশি ব্যবস্থা থেকে পানীয় জলের সমস্যাও প্রবল। সম্প্রতি যে সমস্যা স্থানীয় কাউন্সিলারকে জানানো হলেও- সমাধান হয় নি।
হাটা চলার অযোগ্য রাস্তায় ভোগান্তিতে মেয়ে বধূদেরও। স্থানীয় বাসিন্দা গৃহবধূ হীরা বিবি তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন, তার কথায়, ১৫ বছর হল তার বিয়ে। শ্বশুরবাড়ি এসে পাকা রাস্তার মুখ দেখেন নি আজ অবধি।
স্থানীয়রা বলছেন, শুধু বর্ষা নয়, রাস্তার বেহাল দশায় তারা ১২ মাসই ভুক্তভোগী। বহু প্রতিশ্রুতি মেলে, আশ্বাস মেলে, কিন্তু এই রাস্তার কোন সংস্কার হয় না। স্থানীয়রা চাইছেন এবার অন্তত কাদা মাটির রাস্তার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলুক। রাস্তার বেহাল দশা অথচ সংস্কার হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নের জবাবে, স্থানীয় কাউন্সিলার অবশ্য বলেন, লকডাউনের জেরে কাজ থমকে রয়েছে। ২০০ মিটার এই কাঁচা রাস্তা সংস্কারের অ্যাপ্রুভাল মিলেছে। বর্ষা পেরোলেই কাজ শুরু হতে পারে।
আমিনাবাদ বিলপাড়ার বাসিন্দাদের রাস্তা নিয়ে ভোগান্তি জ্বালা কয়েক বছরের। এই কয়েক বছরে ডোমকল পৌরসভাতেও হয়েছে একাধিক রদবদল। তবে প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় বাড়ছে ক্ষোভ। বেহাল রাস্তার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন স্থানীয়রা।