কাঁচা আম কেন খাবেন ?

Published By: Madhyabanga News | Published On:

গার্গী চৌধুরী : গরমে কাঁচা আমের জুড়ি মেলা ভার। গ্রীষ্মকাল মানেই আমের মরশুম। অন্যান্য মরশুমি ফলের থেকেও আমের চাহিদায় থাকে সব থেকে বেশি। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে আম খেতে পছন্দ করে না। আম কাঁচা অথবা পাকা যেভাবেই খাওয়া হোক তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অনেক ক্ষেত্রে পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমের গুণ আরও বেশিকম বেশি সবারই জিভে জল এসে যায় কাঁচা আমের নাম শুনলেই।আর মৌসুমি ফল হিসেবে কাঁচা আমের তুলনা হয় না। গরমের তাপে অতিষ্ঠ হয়ে বাইরের খোলা পানীয় পানের পরিবর্তে কাঁচা আমের শরবত কিংবা কাঁচা আম খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখবে এবং সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে করে তুলবে নিমিষেই তরতাজা। তাছাড়া কাঁচা আমে রয়েছে অ্যাসিডিটির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা। যাদেরকোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য কাঁচা আমের শরবত উপকারী। ওজন কমাতেও কাঁচা আম আপনাকে নানাভাবে সাহায্য করবে। কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি  যা রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা গড়ে তোলে।  তাই কাঁচা আমের শরবত  গরমে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু।  এছাড়াও কাঁচা আম ভিটামিন সমৃদ্ধ ও মিনারেলে ভরপুর।  ক্যারোটিন ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ কাঁচা আম চোখভাল রাখার জন্য দরকার। বিটা ক্যারোটিন থাকায় হৃৎপিন্ডের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন-২ ভাল পরিমাণে রয়েছে কাচা আমে।পরিশ্রমী বা নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যেস থাকলে কাঁচা আম খেতে পারেন। পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারে।পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকায় অ্যাসিডিটি বা অম্বল, পেশি সংকোচন, মানসিক চাপের ফলে তৈরি শারীরিক সমস্যায় উপকারী। কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় তা অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা সমস্যায় বেশ উপকারী।যথেষ্ট পরিমাণে টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল না খাওয়ার ফলে সৃষ্ট রক্তঘটিত রোগই হচ্ছে স্কার্ভি।কাঁচা আম শুকিয়ে তৈরি করা আমচূর গুঁড়া স্কার্ভি সারানোয় কার্যকর।কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। এমনকি পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে থাকে।খাবারেও পাতেও কাচা আমের চাটনির জুরি মেলা ভার। বাঙালির কাছে উৎসব মানেই  পেটপুরে খাওয়া। ।কাঁচা আম দিয়ে তৈরি চাটনী খুবই লোভনীয় একটি খাবার। পুষ্টিগুণ থেকে রসনা তৃপ্তি সবেতেই সবেতেই সেরা কাঁচা আম।