মামিনুল ইসলাম :হরিহরপাড়া ২৬ শে অক্টোবর – একেই পাটের দাম কমেছে, তার উপর আবার পাট বিক্রিই করতে পারছেন না পাট চাষিরা। এই অবস্থায় চরম আর্থিক সংকটের মুখে হরিহরপাড়ার আদিবাসী পাড়ার রাজমাল পরিবার। বাধ্য হয়েই ঘরের বারান্দায় বোঝাই করে রেখেছেন পাট।
মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা গোকুল রাজমাল। স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে যৌথ পরিবার। বংশ পরম্পরায় চাষ আবাদ করেই জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। সংসারে সকলের মুখে দু বেলা দু মুঠো অন্ন তুলে দিতে দিন রাত এক করে পরিশ্রম করে চলেন মাঠে। এবছর মহাজনের কাছ থেকে ৪ বিঘা জমি নিয়ে পাট লাগিয়েছিলেন। পাট চাষের পর জমি থেকে পাট তোলার পর্ব মিটেছে বেশ ক দিন হল। কিন্তু সমস্যায় পড়েছেন পাট বিক্রি নিয়ে । হরিহরপাড়া জেসিআই পাট কিনছে না। তার উপর পাটের দামও একেবারেই কম। সব মিলিয়ে চরম দুর্দিনের মধ্যে রাজমাল পরিবার। প্রধান অর্থকারী ফসল হলেও তা বোঝা হয়ে রয়েছে এই অসহায় পরিবারে। পাট বিক্রি করতে না পারলে অন্যান্য ফসলও চাষ করতে পারবেন না। পুজোর মরশুমের পর পাট বিক্রি করতে পারবেন এই আশা করেছিলেন গোকুল রাজমাল। কিন্তু পাট বিক্রি করতে না পারায় পাট চাষে যে খরচ হয়েছে, সেই খরচ উঠবে কিভাবে, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় তিনি। অর্থ উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন এটাই। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে কতদিন পরিবারের সকলের মুখে খাবার তুলে দিতে পারবেন সেই ভেবেই হতাশ গোকুল বাবুর মা কল্পনা রাজমাল। এখন শুধু সরকারি সাহায্য পাওয়ার আশায় চাতক পাখির মতো চেয়ে রয়েছেন।
মাটির একচালা ঘরের বারান্দায় বোঝাই করে রাখা রয়েছে পাট। কষ্টের ফসল, তাই এভাবেই আগলে রেখেছেন গ্রহবধূ ঝর্না রাজমাল। ঘরের বারান্দায় পাট বোঝাই থাকায় বাস করাই দায়। তার আশঙ্কা পাট বিক্রি করতে না পারলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই পড়তে হবে ।