করোনা আবহে অঞ্জলি বন্ধ কিরীটেশ্বরীতে

Published By: Madhyabanga News | Published On:

ইমাজিন ডেস্কঃ ১৪ নভেম্বর- দীপাবলিতেও ছায়া ফেলছে করোনা। প্রশাসন থেকে চিকিৎসক, সভাই বলছে ভিড় এরীয়ে চলুন। ভিড় এড়াতে এই বছর হচ্ছে না নবগ্রামে কিরীটেশ্বরীতে মন্দিরে অঞ্জলিও। প্রতিবছর এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন পূণ্যার্থীরা। মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরী মন্দিরের কালিপুজো । কথিত আছে, ৫১টি সতী পিঠের মধ্যে নবগ্রামের কিরীটেশ্বরী মন্দির অন্যতম। ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাস, দক্ষযজ্ঞের সময় শিব যখন তাণ্ডব নৃত্য করছিলেন তখন নারায়ণ চক্র দিয়ে সতীর দেহ টুকরো টুকরো করেন। সতীর দেহের অংশ যেখানে যেখানে পড়ে সেখানে সেখানে সতী পিঠ গড়ে ওঠে। কিরীটেশ্বরীতে পড়েছিল মুকুট। দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালী পুজোয় ভক্তদের ভিড়ে অদ্ভুত রূপ নেয় মন্দির চত্বর। সেজে ওঠে আলোয়। ভিড় করেন উপাসকরাও। তবে এবছর করোনার জেরে বেশ কিছু নিয়ম বিধি রয়েছে মন্দিরে। কিরীটেশ্বরী মন্দির কতৃপক্ষ সুত্রে জানা যায়, সারা দিন, সন্ধ্যায় দর্শনার্থীরা আসবেন; পুজো হবে, তবে দেবীর চিরাচরিত পুজো হবে নিশিরাতে। করোনার প্রকোপে এবছর বন্ধ অঞ্জলি। মন্দিরের গর্ভগৃহে ৫ জন দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন। এই বছর কালীপুজো হচ্ছে সব সরকারি নিয়ম মেনেই। করোনা পরিস্থিতিতে যাতে জমায়েত না হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ইতিহাস বলছে, আগে কিরীটেশ্বরীতে বৌদ্ধ তান্ত্রিকদের বাস ছিল, পরে কোনও কারণে তাঁরা কিরীটেশ্বরী ত্যাগ করে চলে যান। কিরীটেশ্বরীর যে মূর্তি রয়েছে সেটা বৌদ্ধ আদলেই তৈরি বলে মনে করা হয়। এক সময় সময় রানি ভবানীর জমিদারির অন্তর্গত ছিল এই মন্দির, মন্দিরের সংস্কার করেন তিনি। রয়েছে বহু লোকশ্রুতিও ।
কিরীটেশ্বরীর পুজোয় মাছের ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে। হয় বলিও। করোনা বিধি মেনেই সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে মন্দির কমিটি। দর্শনার্থীদের মাস্ক পড়ে, হাতে স্যানিটাইজার- দিয়েই মন্দিরে প্রবেশে ছাড় মিলবে।