ভারতের তিন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার ডেল্টা প্লাস স্ট্রেন। বদলেছে ভাইরাসের চরিত্র। করোনা ভাইরাসের ডেল্টা প্লাস স্ট্রেনটি সংক্রমণের নিরিখে প্রবল শক্তিশালী বলেই চিহ্নিত। একবার ছড়াতে শুরু করলে রোখা কঠিন হবে সংক্রমণ। ডেল্টাপ্লাসের সংক্রমণে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে ব্রিটেনেও। জাপান, আমেরিকা, চিন, রাশিয়া সহ নয়টি দেশে আতঙ্কের কারণ ডেল্টা প্লাস স্ট্রেন। ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন রাজ্যে ২২ জন। Delta Plus Variant কে Variant of Concern (VOC) হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র।
চিকিৎসকের চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে এই নতুন স্ট্রেন। এতোদিন করোনার চিকিৎসা যেভাবে হচ্ছিল, সেই পদ্ধতি কাজ করছে না ডেল্টা প্লাসের ক্ষেত্রে। এর সংক্রমণের হারও অনেক বেশি বলেই আশঙ্কা।
ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণ রুখতে কেরল, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশেওকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র সরকার। INSACOG এর পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে সতর্ক করা হয়েছে তিন রাজ্যকে।
এক্সপার্টরা জানান এই নতুন স্ট্রেন নিয়ে এখনও কোন পরিষ্কার ধারণা নেই , সেটাই মাথাব্যাথার সব থেকে বড় কারণ। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছেন আগের ভাইরাসের থেকে ডেল্টা প্লাসে ফুসফুসের অনেক বেশি ক্ষতি হয়। কমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই নতুন স্ট্রেনের তিনিটি বিপদ চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলি হলঃ
১) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই নতুন স্ট্রেন ২) ফুসফুসের কোষগুলির রিসেপ্টরগুলির কাছে শক্তিশালী আবদ্ধ হয়ে যায় নতুন স্ট্রেন
৩) একচেটিয়া ভাবে অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া হ্রাস করে যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা যায় (Potential reduction in monoclonal antibody response)
নতুন স্ট্রেন যাতে দেশের অন্যত্র না ছড়িয়ে পড়তে পারে সেজন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য গুলিও। রাজ্যগুলিকে টেস্টিং বাড়ানো, সংক্রমণ চিহ্নিত করা, জেলা এবং ক্লাস্টারগুলি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।