মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ সারাদিন চরকা ঘুরিয়ে হাতের আলতো ছোঁয়ায় তৈরি হয় মাটির প্রদীপ, বাহারি ভাঁড় । তবে আগে যেখানে কাজের ব্যস্ততা থাকতো সর্বদা, সেখানে আজ কমেছে কাজ । বংশপরম্পরার ব্যবসা ছেড়ে অনেকেই অন্য জীবিকা বেছে নিচ্ছেন । সরকারি সাহায্য না পেলে আগামী দিনে এই মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রাখায় দায় হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন ফরাক্কা ব্লকে আকুড়া পালপাড়া এলাকার মৃৎ শিল্পীরা।
আকুড়া পালপাড়া এলাকায় আগে প্রায় দেড়শো পরিবার শুধু মাত্র মৃৎশিল্পের উপর ভরসা করে জীবিকা নির্বাহ করত। তবে সময়ের সাথে সাথে আজ এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই। দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির বাজারে কয়লা থেকে মাটি সব কিছুর দামই হয়েছে দ্বিগুন । অন্যদিকে এই মাটির তৈরী ভাঁড় থেকে অন্যান্য সামগ্রীর বিকল্প জায়গা নিয়েছে প্লাস্টিক। ফলে তে এই শিল্পের সাথে যুক্ত মানুষদের সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে। এখন এই শিল্পকে বাঁচাতে সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে মৃৎ শিল্পের সাথে যুক্ত -তাপস কুমার পাল, নরোত্তম পালরা ।
আগে যেখানে পুরো পাড়াই এই কাজের সাথে যুক্ত ছিল। এখন প্রায় ৫০ টি পরিবার এই শিল্প ছেড়ে অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছে। অনেকে পাড়ি দিয়েছেন ভিন রাজ্যে। এই পেশাকে বাঁচিয়ে রাখলে একদিকে যেমন পরিবেশ দুষন রোধ করা যাবে তেমনি কুটির শিল্প বাঁচবে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।