দুর্ভোগের নাম “ওটিপি”। রেশন গ্রাহকদের দুর্ভোগ কাটছেই না সামসেরগঞ্জে। চাচন্ড এলাকার সাথেই সমস্যা বাড়ছে বোগদাদনগর, নিমতিতা, প্রতাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও। সমস্যা একটাই- আধারের সাথে মোবাইল নম্বরের লিংক না হওয়ায় রেশন সামগ্রী মিলছে না। দুয়ারে রেশন তো দূরে থাক, সাত সকালে সরকারি ন্যায্যমূল্যের দোকানে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েও বরাদ্দ রেশন পাচ্ছেন না উপভোক্তারা। অধিকাংশকেই ফিরে আসতে হচ্ছে খালি হাতে ৷ আধার লিংক করাতে প্রতিদিন বাংলা সহায়তা কেন্দ্র ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
রেশন গ্রাহকরা জানাচ্ছেন, ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তির প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই শুরু হয়েছে এই দুর্ভোগ ৷ যাদের হাতে ডিজিটাল রেশন কার্ড এখনও পৌঁছয়নি, তাঁদের অবস্থা হয়েছে আরও শোচনীয় ৷ শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায় অসংখ্য মানুষ রেশনের ওপরেই নির্ভরশীল। সমস্যার সমাধান না হওয়ায় রেশন ডিলারের প্রতি ক্ষোভও বাড়ছে।
রেশন নিতে এসে ফিরতে হয়েছে সামসেরগঞ্জের মাস্তারা বিবিকে। মাস্তারা বিবি বলেন, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। বলছে নাম্বার না মিললে রেশন পাওয়া যাবে না।
অন্যান্য জায়গার মতোই সামসেরগঞ্জেও আধারের সাথে মোবাইল নম্বর লিংকের কাজ চলছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে ভিড় করছেন মানুষ। রেশন ডিলারদের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাহকদের। অন্যদিকে রেশন ডিলাররা বলছেন, তারা অপারগ। কারও ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছেনা , কারও আবার মোবাইল নম্বরও ভুল, ওটিপি -ও আসছে না। পরিষেবা দিতে চাইলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
ভুক্তভোগীরা বুঝতে পারছেন না , কবে মিটবে আধার জট।