অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলার সাথে বহরমপুরের পুজো দেখলেন বামা খ্যাপার সব্যসাচী চৌধুরী Sabyasachi Chowdhury। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন “ অন্যরকম পুজো দেখলাম” । শেয়ার করলেন বহরমপুরের রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে নাকানি চোবানি খাওয়ার অভিজ্ঞতা।
অষ্টমীর ভোররাতে চারচাকা নিয়ে কলকাতা ছেড়ে বহরমপুর আসেন ঐন্দ্রিলা, সব্যসাচী । ‘জিয়ন কাঠি’র নায়িকা ঐন্দ্রিলা শর্মার বাড়ি বহরমপুরেই। মহাপীঠ তারাপীঠ-এর অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, “ আমি এই প্রথমবার এখানে এলাম, তবে বহরমপুরের মাটিতে পা দিয়েই বুঝলাম, এই মাটির হৃদ্যতা আলাদা” ।
সন্ধেয় গাড়ি নিয়ে ঘুরলেন শহরেও। শহর বহরমপুরের ট্রাফিক জ্যামে নাকানিচোবানিও খেলেন ।
টুকটুক আর স্কুটি নিয়ে বহরমপু চষে বেড়ালেন সব্যসাচী। চেখে দেখলেন ‘ নীলুর ঘুঘনি, ইন্দ্রপ্রস্থর ফুচকা, পলষন্ডার তরকা, হ্যান্ড গ্রেনেডের সাইজের ছানাবড়া, গসিপ মোরের চিকেন পকোড়া’।
আর কী অভিজ্ঞতা হল হাজাদুয়ারীতে ?
সব্যসাচী লিখলেন, “ বিকেলে ঐন্দ্রিলা আর গোপালকে নিয়ে হাজারদুয়ারি গিয়েছিলাম। তখন অবশ্য বন্ধ হবার মুখে। ওই বিশাল স্থাপত্যের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে বড় তুচ্ছ মনে হয়। সূর্য ডুবেছে অনেকক্ষণ হলো, আকাশে তখন অস্তরাগ। মদিনা মসজিদের আজানের ধ্বনিতে আকাশ মুখরিত, এদিকে হিজাব পরিহিত মুসলমান পরিবার, দল বেঁধে দুগ্গাপুজো দেখতে যাচ্ছে। তারই মধ্যে থেকে হঠাৎ একজন হুমড়ি খেয়ে এসে আমায় প্রণাম করে বললো “ ভাইয়া আমি মুসলমান, কিন্তু আমি আর আব্বাজান রাতে বামাখ্যাপা না দেখে খেতে বসি না। পায়ে হাত ঠেকালাম ভাইয়া, কিছু মনে করবেন না।”
হাজারদুয়ারির অভিজ্ঞতায় অবাক সব্যসাচী। তাই তার কাছে “ এইটুকুই তো পুজো। বাকি সব আড়ম্বর মাত্র” ।