পবিত্র ত্রিবেদীঃ একে বলা যায় মা দুর্গা পুজোর আগে ঘরে এলো মা লক্ষী। সোনার ধানকে গ্রামের মানুষরা মা লক্ষ্মী বলে থাকেন । বর্ষায় অনাবৃষ্টির কারণে আমন ধান রোপণ করতে দেরি হয়েছে অনেকের। ফলে যে ধান কার্তিক মাসে ওঠার কথা, তা তুলতে অগ্রহায়ণ মাস পেরিয়ে যাবে বলে মনে করছেন চাষীরা । কিন্তু, এরই মধ্যে ধান চাষে কার্যত ম্যাজিক দেখিয়েছে বেশ কিছু গ্রামীণ এলাকার কৃষক। বর্ষার ধান লাগিয়ে পুজোর আগেই সেই ধান তুলে ফেলছেন তাঁরা। অল্প সময়ে ধানে এই ভেলকি সম্ভব হয়েছে বলে তাঁরা বলছেন। কৃষি দপ্তরও পরামর্শ দিচ্ছে, একটু উঁচু জমি হলে অল্প সময়ের ধান লাগানোর জন্য। এরকমই কান্দি মৌজার তিলেপাড়া গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা হাজার টেন ধান চারা রোপণ করেছিলেন। তা তাঁরা তুলতে শুরু করেছেন। এই সময় ধান তুলতে দেখে অনেকেরই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।
তেমনই দেখা গেল তিলেপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ত্রিদিব দাস তার জমিতে “হাজার টেন” ধান তুলছিলেন। তিনি বললেন, ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি কাঠা এক মণ ধান হবে। আশেপাশের জমিতেও দেখা গেল ধান তুলছেন অনেকে। বেশ কিছু জমিতে ধানের শীষ পাকতে শুরু করেছে। এক কৃষক জানিয়েছেন, এই ধান উঁচু জমিতে হয় । অল্প জলে হয়। অনাবৃষ্টি ফসলে ব্যাপকভাবে বাধা হতে পারেনি। পাশের নদী থেকে সেচের জল পেয়ে গিয়েছিলাম।
এই বিষয়ে কান্দি মহকুমার উপ কৃষি অধিকর্তা( প্রশাসন) পরেশনাথ বল শুক্রবার বলেন, উঁচু জমিতে আমরা এটা সুপারিশ করে থাকি। সাধারণত ১১০ দিনের মধ্যে এই ধান উঠে যায়। ফলে চাষিরা বছরে অন্য ফসলগুলো চাষ করতে পারেন তাড়াতাড়ি।