দেলওয়ার হোসেনঃ সীমান্ত এলাকায় বালিমাটির জমিতে একাঙ্গীর চাহিদা তুঙ্গে কৃষকদের মধ্যে। এই একাঙ্গী দেখতে অনেকটা আদার মতো। মাটির তলাতেই তা হয়। গাছও দেখতে আদার মতোই। স্থানীয়ভাবে তা একআনি নামেই পরিচিত।এখন এই একাঙ্গী বা চলতি ভাষায় ‘একআনি’ চাষের উপর ঝুঁকছেন জলঙ্গীর চর এলাকার কৃষকেরা।
চর এলাকায় বালি মাটিতে তেমন ফসল হয় না । অনেক সময় সেই জমি খালি পরে থাকত । এছাড়াও ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে হওয়ায় সেখানে অন্য কোন ফসল করতেই নানা সমস্যায় পড়েন কৃষকরা । তাই কয়েক বছর ধরে এই চরের বালি জমিতে একাঙ্গী চাষ করছেন কৃষকেরা।
চর এলাকার কৃষক আফাতুল্লা সেখ জানান, মূলত বৈশাখে তা জমিতে একাঙ্গীর চাষ শুরু হয়। মাঘ মাসের দিকে তা জমি থেকে তোলা হয় ফসল ।
সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় এই চাষে, ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি প্রায় ১৫ কুইন্টাল একাঙ্গী পাওয়া যায়। কাঁচা একাঙ্গীর দাম মেলে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা, তবে তা শুকনো হলে তার দাম ওঠে প্রায় ১৫ হাজার টাকার কাছাকাছি। সব মিলিয়ে লাভজনক চাষের দিকেই ঝুকছে সীমান্ত এলাকার কৃষকেরা। জলঙ্গির সীমান্ত এলাকায় এখন শুধু জমি ভরে রয়েছে একাঙ্গী চাষে। একাঙ্গী চাষি ইসলাম সেখ জানাচ্ছেন, নতুন এই চাষে লাভের মুখ দেখায় অনেকে নতুন করে চাষে যুক্ত হচ্ছেন।