মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরোঃ৮ জুনঃ এখনও ঘরে মৃত্যুর ছাপ স্পষ্ট। দুই পাশে সবুজ ধানজমির মাঝে ছোট্ট ডিপ পাম্পের ঘর। রঘুনাথগঞ্জের নওদা মির্জাপুরে এই ঘরেই সোমবার বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ৬ জন গ্রামবাসীর। হাহাকার গ্রামজুড়ে। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতেই ডিপ পাম্পের ঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেকে। তবে এই পরিণতি হবে, আন্দাজ করেননি কেউ। এখন এই ঘর দেখতে মাঝে মধ্যেই আসছেন গ্রামের মানুষ। তুলে রাখছেন ছবিও।
প্রত্যেকদিনের মতো মাঠে গিয়েছেন। দূরের থেকে দেখতে পাই ডিপের ঘরে বাজ পড়ছে। গিয়ে দেখি ভয়ংকর অবস্থা। বলছেন নওদার বাসিন্দা রুকময় দাস। জানাচ্ছেন ওই ঘর ছাড়া বৃষ্টি থাকা বাঁচার কোনো জায়গা নেই।
মাঠে তিল আছে। ছাগল নিয়ে গিয়েছিল ছেলে। বৃষ্টি পড়ছিল বলেই ডিপের ঘরে ঢুকেছিল ছিল। কান্নায় ভেঙে পড়ে বলছেন, মৃত দুর্যোধন দাসের মা আহ্লাদী দাস।
বীজ ফেলতে গিয়েছিল অনেকে। কেউ গিয়েছিলেন চাষের অন্য কাজে । ওই ঘরে আশ্রয় নেন প্রায় ১৪ জন। মৃতদের পরিবারকে দেখুক সরকার। আর্জি গ্রামবাসীদের।
এখনও ওই পাম্পের ঘরে ছড়িয়ে আছে ছেঁড়া চপ্পল, জামা কাপড়ের টুকরো। ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ।
মুর্শিদাবাদে সোমবার বিকেলে বজ্রপাতে মৃত ৯ জনের বহরমপুর ও জঙ্গিপুরে ময়নাতদন্তের পর শেষকৃত্য শেষ হয়। এর মধ্যে ছিল রঘুনাথগঞ্জের মৃত ৬ ব্যক্তির দেহও। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিনই মৃতের পরিবার বর্গের কাছে সরকারি ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হবে বলে প্রশাসনিক সুত্রে জানা গিয়েছে।
জঙ্গিপুর বিধানসভা এলাকার মৃত ৭ জন পরিবারের কাছে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন ১ লক্ষ টাকা করে ব্যক্তিগত স্তরে আর্থিক সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। বুধবার সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সাধারন সম্পাদক সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি মুর্শিদাবাদে বজ্রপাতে মৃত পরিবারের সাথে দেখা করবেন । কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও নিহতদের পরিবারপিছু দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে টুইট করে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।